তারিখ লোড হচ্ছে...
সর্বশেষ লাইভ ই-পেপার
খুঁজুন
শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৫, ১৮ আশ্বিন, ১৪৩২
লোড হচ্ছে...
নিউজ লোড হচ্ছে...
ব্রেকিং:
প্রেমিকের হাত ধরে উধাও স্ত্রী, ফিরে পেতে সবার কাছে দোয়া চাইলেন স্বামীহাঁসের মাংস বিক্রেতা ভাইরাল শাকিলার পরকীয়ার জেরে স্বামীর আত্মহত্যার অভিযোগনুরের ওপর সেনা-পুলিশের হামলা ‘ন্যাক্কারজনক’, সেনাবাহিনীর নিঃশর্ত দুঃখপ্রকাশের দাবি নাহিদের‘ঐ চেয়ার নির্লজ্জদের জন্যই’: রাজনীতির সমালোচনায় আসিফ আকবরযাত্রীদের জোরে নিজের জুস খেয়ে অজ্ঞান পার্টির সদস্য নিজেই অজ্ঞাননুরুল হক নুরের রক্তাক্ত ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ হাসনাত আব্দুল্লাহরজাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষে মারাত্মক আহত নুরুল হক নুরবিজয়নগরে গণঅধিকার পরিষদ ও জাতীয় পার্টির সংঘর্ষে আহত রাশেদ খানসহ অনেকেভারতে ডাকাত সন্দেহে গুগল ম্যাপস কর্মীদের গণপিটুনিবরগুনায় যুবদল নেতা জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছেনআওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ও কাদের সিদ্দিকীর ভাই আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী আটকআবাসিক হোটেল থেকে পুরুষ সঙ্গীসহ টিকটকার মাহিয়া মাহি আটকঋণের চাপ সইতে না পেরে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যাচুরি-ছিনতাই করে জমানো প্রায় ৩৫ লাখ টাকা ও ২০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই ভাই মিলে আরেক ভাইয়ের চোখ উপড়ে নিলেনচাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তারঢাকার বিমানবন্দরে নেমে স্বজনের খোঁজে মানসিক ভারসাম্যহীন প্রবাসী সুমনমুসলিম বন্ধুর জানাজায় কান্নায় করা সেই সুধীর বাবু মারা গেছেনসন্ত্রাসবিরোধী মামলায় সাবেক যুগ্ম সচিব ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজুল ইসলাম কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।প্রচারণার প্রথম দিনেই শিবির সমর্থিত জোটের ব্যানার ভাঙচুরপারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীর পরিকল্পনায় মামাতো ভাইয়ের হাতে যুবদল নেতা খুন

“জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে স্বীকৃতি দিয়ে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করলেন অধ্যাপক ইউনূস”

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ৭:১৩ অপরাহ্ণ
“জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে স্বীকৃতি দিয়ে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করলেন অধ্যাপক ইউনূস”

রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আজ মঙ্গলবার ‘৩৬ জুলাই উদ্‌যাপন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বিকেলের দিকে তিনি ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, ছাত্র-জনতা এবং বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।

জুলাই ঘোষণাপত্রটি মূলত ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের দলিল হিসেবে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতির পথ সুগম করতে প্রণয়ন করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে ঘোষণাপত্রটি সংবাদমাধ্যমে সরবরাহ করা হয়েছে।

পাঠকের জন্য ঘোষণাপত্রের বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।

জুলাই ঘোষণাপত্র

১। যেহেতু উপনিবেশ বিরোধী লড়াইয়ের সুদীর্ঘকালের ধারাবাহিকতায় এই ভূখণ্ডের মানুষ দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তানের স্বৈরশাসকদের বঞ্চনা ও শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল এবং নির্বিচার গণহত্যার বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করে জাতীয় মুক্তির লক্ষ্যে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিল;

এবং

২। যেহেতু, বাংলাদেশের আপামর জনগণ দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই ভূখণ্ডে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বিবৃত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে;

এবং

৩। যেহেতু স্বাধীন বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়ন পদ্ধতি, এর কাঠামোগত দুর্বলতা ও অপপ্রয়োগের ফলে স্বাধীনতা-পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযুদ্ধের জন আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছিল এবং গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকারিতা ক্ষুণ্ন করেছিল;

এবং

৪। যেহেতু স্বাধীনতা-পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীনতার মূলমন্ত্র গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বিপরীতে বাকশালের নামে সাংবিধানিকভাবে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করে এবং মতপ্রকাশ ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করে, যার প্রতিক্রিয়ায় ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর দেশে সিপাহি-জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লব সংঘটিত হয় এবং পরবর্তী সময়ে একদলীয় বাকশাল পদ্ধতির পরিবর্তে বহুদলীয় গণতন্ত্র, মতপ্রকাশ ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা পুনঃপ্রবর্তনের পথ সুগম হয়,

এবং

৫। যেহেতু আশির দশকে সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ নয় বছর ছাত্র-জনতার অবিরাম সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯০ সালের গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয় এবং ১৯৯১ ইং সনে পুনরায় সংসদীয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়।

এবং

৬। যেহেতু দেশি-বিদেশি চক্রান্তে সরকার পরিবর্তনের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ায় ১ / ১১-এর ষড়যন্ত্রমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার একচ্ছত্র ক্ষমতা, আধিপত্য ও ফ্যাসিবাদের পথ সুগম করা হয়;

এবং

৭। যেহেতু গত দীর্ঘ ষোলো বছরের ফ্যাসিবাদী, অগণতান্ত্রিক এবং গণবিরোধী শাসনব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে এবং একদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অতি উগ্র বাসনা চরিতার্থ করার অভিপ্রায়ে সংবিধানের অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক পরিবর্তন করা হয় এবং যার ফলে একদলীয় একচ্ছত্র ক্ষমতা ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়;

এবং

৮। যেহেতু শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসন, গুম-খুন, আইন-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ এবং একদলীয় স্বার্থে সংবিধান সংশোধন ও পরিবর্তন বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে ধ্বংস করে;

এবং

৯। যেহেতু, হাসিনা সরকারের আমলে তারই নেতৃত্বে একটি চরম গণবিরোধী, একনায়কতান্ত্রিক, ও মানবাধিকার হরণকারী শক্তি বাংলাদেশকে একটি ফ্যাসিবাদী, মাফিয়া এবং ব্যর্থ রাষ্ট্রের রূপ দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে;

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট, ২০২৫) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতেছবি: দীপু মালাকার

এবং

১০। যেহেতু, তথাকথিত উন্নয়নের নামে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী নেতৃত্বে সীমাহীন দুর্নীতি, ব্যাংক লুট, অর্থ পাচার ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসের মধ্য দিয়ে বিগত পতিত দুর্নীতিবাজ আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশ ও এর অমিত অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে বিপর্যস্ত করে তোলে এবং এর পরিবেশ, প্রাণবৈচিত্র্য ও জলবায়ুকে বিপন্ন করে;

এবং

১১। যেহেতু শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দল, ছাত্র ও শ্রমিক সংগঠনসহ সমাজের সর্বস্তরের জনগণ গত প্রায় ষোলো বছর যাবৎ নিরন্তর গণতান্ত্রিক সংগ্রাম করে জেল-জুলুম, হামলা-মামলা, গুম-খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়;

এবং

১২। যেহেতু বাংলাদেশে বিদেশি রাষ্ট্রের অন্যায় প্রভুত্ব, শোষণ ও খবরদারিত্বের বিরুদ্ধে এ দেশের মানুষের ন্যায়সংগত আন্দোলনকে বহিঃশক্তির তাঁবেদার আওয়ামী লীগ সরকার নিষ্ঠুর শক্তিপ্রয়োগের মাধ্যমে দমন করে;

এবং

১৩। যেহেতু অবৈধভাবে ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার তিনটি প্রহসনের নির্বাচনে (২০১৪,২০১৮ ও ২০২৪ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচন) এ দেশের মানুষকে ভোটাধিকার ও প্রতিনিধিত্ব থেকে বঞ্চিত করে;

এবং

১৪। যেহেতু, আওয়ামী লীগ আমলে ভিন্নমতের রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, শিক্ষার্থী ও তরুণদের নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করা হয় এবং সরকারি চাকরিতে একচেটিয়া দলীয় নিয়োগ ও কোটাভিত্তিক বৈষম্যের কারণে ছাত্র, চাকরি প্রত্যাশী ও নাগরিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের জন্ম হয়;

এবং

১৫। যেহেতু বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের ওপর চরম নিপীড়নের ফলে দীর্ঘদিন ধরে জনরোষের সৃষ্টি হয় এবং জনগণ সকল বৈধ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াই চালিয়ে যায়;

এবং

১৬। যেহেতু, সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থার বিলোপ ও দুর্নীতি প্রতিরোধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক ব্যাপক দমন-পীড়ন, বর্বর অত্যাচার ও মানবতাবিরোধী হত্যাকাণ্ড চালানো হয়, যার ফলে সারা দেশে দল-মত নির্বিশেষে ছাত্র-জনতার উত্তাল গণবিক্ষোভ গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়;

এবং

১৭। যেহেতু ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে অদম্য ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক দল, ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী, শ্রমিক সংগঠনসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষ যোগদান করে এবং আওয়ামী ফ্যাসিবাদী বাহিনী রাজপথে নারী-শিশুসহ প্রায় এক হাজার মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে, অগণিত মানুষ পঙ্গুত্ব ও অন্ধত্ব বরণ করে এবং আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে সামরিক বাহিনীর সদস্যগণ জনগণের গণতান্ত্রিক লড়াইকে সমর্থন প্রদান করে;

এবং

১৮। যেহেতু, অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারের পতন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের লক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে জনগণ অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে, পরবর্তী সময়ে ৫ আগস্ট ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ পরিচালনা করে এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনরত সকল রাজনৈতিক দল, ছাত্র-জনতা তথা সর্বস্তরের সকল শ্রেণি, পেশার আপামর জনসাধারণের তীব্র আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে গণভবনমুখী জনতার উত্তাল যাত্রার মুখে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়;

এবং

১৯। যেহেতু বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট মোকাবিলায় গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ব্যক্ত জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রত্যয় ও প্রয়োগ রাজনৈতিক ও আইনি উভয় দিক থেকে যুক্তিসংগত, বৈধ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত;

এবং

২০। যেহেতু জনগণের দাবি অনুযায়ী এরপর অবৈধ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া হয় এবং সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের মতামতের আলোকে সাংবিধানিকভাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়;

এবং

২১। যেহেতু, বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণের ফ্যাসিবাদবিরোধী তীব্র আকাঙ্ক্ষা এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়;

এবং

২২। সেহেতু, বাংলাদেশের জনগণ সুশাসন ও সুষ্ঠু নির্বাচন, ফ্যাসিবাদী শাসনের পুনরাবৃত্তি রোধ, আইনের শাসন এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে বিদ্যমান সংবিধান ও সকল রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক সংস্কার সাধনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে;

এবং

২৩। সেহেতু, বাংলাদেশের জনগণ বিগত ষোলো বছরের দীর্ঘ ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রাম কালে এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালীন সময়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক সংঘটিত গুম-খুন, হত্যা, গণহত্যা, মানবতা বিরোধী অপরাধ ও সকল ধরনের নির্যাতন, নিপীড়ন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুণ্ঠনের অপরাধসমূহের দ্রুত উপযুক্ত বিচারের দৃঢ় অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে;

এবং

২৪। সেহেতু, বাংলাদেশের জনগণ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সকল শহীদদের জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা করে শহীদদের পরিবার, আহত যোদ্ধা এবং আন্দোলনকারী ছাত্রজনতাকে প্রয়োজনীয় সকল আইনি সুরক্ষা দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।

এবং

২৫। সেহেতু, বাংলাদেশের জনগণ যুক্তিসংগত সময়ে আয়োজিতব্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদে প্রতিশ্রুত প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে দেশের মানুষের প্রত্যাশা, বিশেষত তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আইনের শাসন ও মানবাধিকার, দুর্নীতি, শোষণমুক্ত, বৈষম্যহীন ও মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।

এবং

২৬। সেহেতু বাংলাদেশের জনগণ এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছে যে একটি পরিবেশ ও জলবায়ু সহিষ্ণু অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন কৌশলের মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অধিকার সংরক্ষিত হবে।

এবং

২৭। বাংলাদেশের জনগণ এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে যে, ছাত্র-গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এর উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে এবং পরবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত থাকবে।

এবং

২৮। ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে গণ-অভ্যুত্থানে বিজয়ী বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে এই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করা হলো।

প্রেমিকের হাত ধরে উধাও স্ত্রী, ফিরে পেতে সবার কাছে দোয়া চাইলেন স্বামী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৮:২০ অপরাহ্ণ
প্রেমিকের হাত ধরে উধাও স্ত্রী, ফিরে পেতে সবার কাছে দোয়া চাইলেন স্বামী

জামালপুরে স্বামীকে ছেড়ে স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে চলে গেছেন আয়েশা খন্দকার (২২) নামে এক গৃহবধূ। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে পৌর শহরের পাথালিয়া বকুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

চার বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটিয়ে স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ায় স্বামী তানজিদ ইসলাম অন্তর কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। স্ত্রীর ফিরে আসার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে পারিবারিকভাবে আয়েশার সঙ্গে তানজিদের বিয়ে হয়। দুই বছরের মধ্যে আয়েশার জীবনে আরেক পুরুষের উপস্থিতি টের পান স্বামী, যা থেকে দাম্পত্য কলহ বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে সেই পুরুষের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে আয়েশার।

বৃহস্পতিবার সকালে তানজিদ ঘুম থেকে উঠে দেখেন স্ত্রী ঘরে নেই। ওয়ারড্রোব থেকে তিন ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ দুই লাখ পঁইত্রিশ হাজার টাকা নিখোঁজ। স্ত্রীকে খুঁজতে শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যর্থ হয়ে তিনি সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

জামালপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক বলেন, “ঘটনাটি নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে।”

হাঁসের মাংস বিক্রেতা ভাইরাল শাকিলার পরকীয়ার জেরে স্বামীর আত্মহত্যার অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ণ
হাঁসের মাংস বিক্রেতা ভাইরাল শাকিলার পরকীয়ার জেরে স্বামীর আত্মহত্যার অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভাইরাল শাকিলার পরকীয়ার জেরে আলমগীর মিয়া (২৬) নামে এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে নিহতের বড় ভাই খোরশিদ মিয়া বাদী হয়ে স্ত্রী শাকিলা, শ্যালক শাকিল ও সাকিবের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

নিহত আলমগীর হোসেন গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত সাদেক মিয়ার ছেলে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, পাঁচ বছর আগে রূপগঞ্জের পূর্বাচলের ১৩ নম্বর সেক্টরের বিরুলিয়া এলাকার শাকিলার সঙ্গে আলমগীরের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শাকিলা ভাইদের সহায়তায় স্বামীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর শাকিলা এক পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। সেই প্রেমিকের সঙ্গে বিভিন্ন ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দাম্পত্য কলহ চরমে ওঠে। এর ধারাবাহিকতায় নির্যাতনের মাধ্যমে আলমগীরকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করা হয় বলে অভিযোগে দাবি করা হয়েছে।

নিহতের ভাই খোরশিদ মিয়া বলেন, “পরিকল্পিতভাবে স্ত্রী ও শ্যালকরা আমার ভাইকে নির্যাতন ও প্ররোচনার মাধ্যমে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে।”

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, “এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৩১ আগস্ট) সকালে রূপগঞ্জের নীলা মার্কেটসংলগ্ন শ্বশুরবাড়িতে আলমগীরের সঙ্গে শ্যালক শাকিল ও সাকিবের ঝগড়া হয়। এ সময় তারা আলমগীরের মোটরসাইকেলের কাগজপত্র পুড়িয়ে ফেলেন। পরে সন্ধ্যায় শ্যালক সাকিব ফোন করে জানান, আলমগীর কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে আশিয়ান মেডিকেল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নুরের ওপর সেনা-পুলিশের হামলা ‘ন্যাক্কারজনক’, সেনাবাহিনীর নিঃশর্ত দুঃখপ্রকাশের দাবি নাহিদের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯:৫৭ অপরাহ্ণ
নুরের ওপর সেনা-পুলিশের হামলা ‘ন্যাক্কারজনক’, সেনাবাহিনীর নিঃশর্ত দুঃখপ্রকাশের দাবি নাহিদের

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর সেনা-পুলিশের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি ঘটনাটিকে ‘ন্যাক্কারজনক’ বলে উল্লেখ করে আইএসপিআর-এর বিবৃতি প্রত্যাহার করে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জনগণের কাছে নিঃশর্ত দুঃখ প্রকাশের আহ্বান জানান।

রবিবার (৩১ আগস্ট) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত নুরুল হক নুরকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরির ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বলেন, জুলাই সনদে গত তিনটি জাতীয় নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই অবৈধ নির্বাচনগুলোর সহযোগী জাতীয় পার্টিকে দিয়ে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, “যারা ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করবে, তাদের জনগণই প্রতিরোধ করবে। নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর যে ভুল হয়েছিল, এবার তার পুনরাবৃত্তি হবে না।”

এনসিপি আহ্বায়ক আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে নির্বাচন, সংস্কার ও নতুন সংবিধান-সবকিছুই করতে হবে।