‘সিতারে জ়মিন পার’ মুক্তির চার দিনে আয় করেছে ৬৬.৬৫ কোটি টাকা
শহরের মাল্টিপ্লেক্সে দর্শক উচ্ছ্বাস, তবে মফস্বলে সাড়া কম
প্রেক্ষাগৃহে কেবল মুক্তির সিদ্ধান্তকে প্রশংসা করছেন চলচ্চিত্র বিশ্লেষকেরা
তিন বছর পর সিনেমায় ফিরে এসেছেন বলিউড তারকা আমির খান, আর তার সঙ্গে ফিরেছে প্রেক্ষাগৃহে ভিড়। তবে সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে আমিরের সাহসী সিদ্ধান্ত—‘সিতারে জ়মিন পার’ মুক্তি পাবে শুধু প্রেক্ষাগৃহে, ওটিটিতে নয়।
সূত্র জানায়, সিনেমাটির ডিজিটাল স্বত্ব বিক্রির জন্য ১৫০ কোটি টাকার প্রস্তাব পেয়েছিলেন আমির, কিন্তু তিনি তা ফিরিয়ে দেন। তার যুক্তি ছিল, প্রেক্ষাগৃহের সংস্কৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করা ও দর্শকদের আবার বড় পর্দার প্রেমে পড়তে উৎসাহ দেওয়া।
মাল্টিপ্লেক্স-ভিত্তিক শহরগুলোতে সিনেমাটি দারুণ সাড়া ফেলেছে। শুধু চার দিনেই সিনেমাটি আয় করেছে ৬৬.৬৫ কোটি টাকা, যা একটি সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য বড় প্রাপ্তি। তবে দেশের ছোট শহর ও মফস্বল এলাকায় দর্শকের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলকভাবে কম।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শহরের দর্শক এখনো অভ্যস্ত সিনেমা হলে যাওয়া নিয়ে, কিন্তু ছোট শহরের দর্শকেরা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সিনেমা দেখার অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ফলে ‘ওটিটি-নেই’ সিদ্ধান্তে সেই দর্শকদের অনেকে বিমুখ হয়েছেন।
চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, প্রেক্ষাগৃহে কেবল মুক্তির এই সিদ্ধান্ত এক ধরনের ‘রিস্ক উইথ রিওয়ার্ড’। তারা বলছেন, আমিরের এই উদ্যোগ হতাশাগ্রস্ত মাল্টিপ্লেক্স মালিকদের মাঝে নতুন আশা জাগিয়েছে। অনেকেই বলছেন, এটি ভবিষ্যতে বলিউডের অন্য তারকাদের জন্য একটি নতুন পথ দেখাবে।
তবে অনেকে এটিকে এককালীন সাহসী প্রদর্শন বলেই মনে করছেন—কারণ প্রতিটি সিনেমা ‘সিতারে জ়মিন পার’-এর মতো তারকা প্রভাব ও আগ্রহ তৈরি করতে পারে না।
আমির খানের এই পদক্ষেপ কি বলিউডে নতুন ধারা আনবে, নাকি কেবল তার ব্যক্তিগত প্রভাবের ফল? সিনেমা ব্যবসার ভবিষ্যৎই সেই উত্তর দেবে। তবে আপাতত, ‘সিতারে জ়মিন পার’ প্রেক্ষাগৃহভিত্তিক সিনেমার জন্য এক বড় বার্তা বহন করছে।
খবর: ইন্ডিয়া টুডে