Top Header
Author BartaLive.com
তারিখ: ২৫ জুন ২০২৫, ০৪:৪৮ অপরাহ্ণ

ICBM বানালে পাকিস্তানকে ‘পারমাণবিক প্রতিপক্ষ’ ঘোষণা করবে যুক্তরাষ্ট্র: ‘অপারেশন সিন্দুর’–এর পর নতুন উত্তেজনা

News Image

সংক্ষেপে:


যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান গোপনে একটি পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল (ICBM) তৈরি করছে, যা আমেরিকাকেও আঘাত হানতে সক্ষম হবে। মার্কিন সাময়িকী ‘ফরেন অ্যাফেয়ার্স’–এর প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তান এই পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’–এর পর তার প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি জোরদার করার জন্য। চীনের প্রযুক্তি ও সহায়তায় পাকিস্তান তাদের পরমাণু শক্তি ও মিসাইল কার্যক্রমকে আরও আধুনিক করছে।

পারমাণবিক প্রতিপক্ষ হওয়ার আশঙ্কা

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে রিপোর্টে বলা হয়েছে,
“যদি পাকিস্তান ICBM অর্জন করে, তবে ওয়াশিংটনের পক্ষে তাকে আর মিত্র ভাবা সম্ভব নয়।”
বর্তমানে রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচিত। পাকিস্তান এই তালিকায় যুক্ত হলে কূটনৈতিক ভারসাম্য মারাত্মকভাবে বদলে যেতে পারে।

পাকিস্তানের বর্তমান সক্ষমতা

এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের কাছে কোনো ICBM নেই। তারা ২০২২ সালে ‘শাহীন-৩’ নামের একটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করে, যার পাল্লা ২,৭০০ কিলোমিটার—যা ভারতের অনেক শহরকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে।

তবে ICBM-এর পাল্লা ৫,৫০০ কিলোমিটারের বেশি, যা যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র আশঙ্কা করছে, পাকিস্তান এই মিসাইলের মাধ্যমে ভবিষ্যতে কোনো প্রতিরোধমূলক হামলায় নিজেদের পরমাণু অস্ত্র রক্ষায় একটি কৌশলগত ঢাল তৈরি করতে চাইছে।

নিষেধাজ্ঞা ও আন্তর্জাতিক উদ্বেগ

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে পাকিস্তানের মিসাইল কর্মসূচি নিয়ে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কমপ্লেক্স এবং আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, যার ফলে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়।

পাকিস্তান এই নিষেধাজ্ঞাকে “পক্ষপাতদুষ্ট” বলে আখ্যায়িত করলেও, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তান বিদেশ থেকে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের উপাদান সংগ্রহের চেষ্টা করছে।

উল্লেখ্য, পাকিস্তান প্রায় ১৭০ টি পারমাণবিক ওয়ারহেডের মালিক হলেও তারা এখনো পর্যন্ত পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ সংবিধান (NPT)–এ স্বাক্ষর করেনি।

অপারেশন সিন্দুর: উত্তেজনার মূল উৎস

সম্প্রতি ‘অপারেশন সিন্দুর’-এ ভারত পাকিস্তানের ৯ টি জঙ্গি ঘাঁটি ও ১১ টি গুরুত্বপূর্ণ বিমান ঘাঁটিতে আঘাত হানে। এর পর পাকিস্তান ‘ফাতাহ-২’ নামের হাইপারসনিক মিসাইল ভারতের দিকে নিক্ষেপ করে বলে অভিযোগ ওঠে, যা ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ধরা পড়ে এবং ধ্বংস করা হয়।

এই ঘটনার পর থেকে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সহ একাধিক মন্ত্রী আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থা IAEA-কে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার তদারকির আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, পাকিস্তানের হাতে এমন ভয়ংকর অস্ত্র “বিশ্বের জন্য হুমকি” হতে পারে।

Watermark