Top Header
Author BartaLive.com
তারিখ: ২৫ জুন ২০২৫, ০৭:১৮ অপরাহ্ণ

ইশরাক–সজীব ভুঁইয়ার পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে উত্তপ্ত নগর রাজনীতি

News Image

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে ঘিরে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার মধ্যে প্রকাশ্য মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।

বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ইশরাক হোসেন বলেন, “ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনকে ঘিরে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। এজন্য তাকে নগরবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।”

এরই জবাবে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেইজে একটি দীর্ঘ পোস্ট দেন, যেখানে তিনি বলেন:

“অকারণে আমার ছবিতে জুতা মারার জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে?
গুজবকে কেন্দ্র করে আমার পিতাকে ‘চালচোর’ বলে শ্লোগান দেওয়ার জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে?
শুরুতেই সরকারপক্ষ থেকে সমাধান চেষ্টা যারা দম্ভভরে প্রত্যাখ্যান করে ভোগান্তির জন্য দায়ী তারা ক্ষমা চেয়েছে?
নগর ভবন বন্ধ করে ১ কোটির বেশি নগরবাসীকে কষ্ট দেওয়ার জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে?
নগর ভবন দখলকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ এবং আহত হওয়ার ঘটনায় কেউ ক্ষমা চেয়েছে?
ইশরাক হোসেনের বক্তব্য অনুযায়ী উপদেষ্টা পরিষদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের জন্য আমাকে বারবার ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ, আমার পরিবারকে আক্রমণ, জবাই করার শ্লোগান দেওয়া সহ অব্যাহত মানহানির জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে?”

তিনি আরও বলেন:

“কিন্তু আমাকে ক্ষমা চাইতে হবে কারণ আমি বলেছি কয়েকজন নেতার প্ররোচনায় এই আন্দোলন হয়েছে। আমি সত্যি বলেছি, এবং সত্যি যে বলেছি এটা তিনিও জানেন। তাঁকে যে ট্র্যাপে ফেলা হয়েছে, ফর এ্যা বেটার ন্যাগোসিয়েশন ব্যবহার করা হয়েছে তা তিনি ভালো করেই জানেন এবং আমার পরিচিত একাধিক ব্যক্তির কাছে স্বীকারও করেছেন।
এত নোংরামি করার পরও গত দেড় মাসে একবারের জন্যও ভদ্রতার লাইন ক্রস করিনি। একবারও ব্যক্তি আক্রমণ করা কিংবা ছোট করে কথা বলিনি। আমার লড়াই, রাজপথ, রাজনৈতিক পথচলা কিংবা পরিবার কেউই আমাকে এই শিক্ষা দেয়নি।
আমি ধৈর্য্য ধরেছি, জবাব দেইনি বলে যে এসব অন্যায় জবাবহীন থেকে যাবে এমনটা না। ইতিহাস সবাইকেই যার যার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়।”

এই পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে রাজনীতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই উত্তপ্ত বক্তব্য রাজপথের আন্দোলন ও সমঝোতার প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।

এদিকে, সিটি করপোরেশন ঘিরে চলমান অচলাবস্থা ও নগর ভবন দখল নিয়ে জনসাধারণের দুর্ভোগ বেড়েছে। নাগরিকদের একাংশ এই সংঘাতের দ্রুত অবসান ও শান্তিপূর্ণ সমাধান কামনা করছেন।

Watermark