Top Header
Author BartaLive.com
তারিখ: ২৯ জুন ২০২৫, ০৫:১৭ অপরাহ্ণ

ইরানের কুখ্যাত এভিন কারাগারে ইসরায়েলি হামলা: নিহত ৭১

News Image

বার্তালাইভ.কম ।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইরানের রাজধানী তেহরানের অন্যতম কুখ্যাত এভিন কারাগারে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ৭১ জন নিহত হয়েছেন। রবিবার (২৯ জুন) ইরানের বিচার বিভাগের মুখপাত্র আসগর জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহতদের মধ্যে কারাগারের কর্মী, বন্দী, তাদের স্বজন এবং পার্শ্ববর্তী এলাকাবাসী রয়েছেন।

২৩ জুন সংঘটিত এই হামলাটি ঘটে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতির দুই দিন আগে। ইসরায়েলি বিমান বাহিনী উত্তর তেহরানের এভিন কারাগারে টার্গেটেড অ্যাটাক চালায়, যা মূলত রাজনৈতিক বন্দী ও বিদেশি নাগরিকদের আটকে রাখার জন্য পরিচিত একটি প্রতিষ্ঠান।

হামলায় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের একটি বড় অংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এভিন কারাগারের চিকিৎসা কেন্দ্র ও পরিদর্শন কক্ষও হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল বলে জানিয়েছে ইরানের বিচার বিভাগ। আহত ও জীবিত বন্দীদের তেহরান প্রদেশের অন্যান্য কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম মিজান জানিয়েছে, এভিন হামলায় নিহত ৭১ জনের মধ্যে রয়েছেন:

এভিন কারাগারের বন্দীদের মধ্যে রয়েছেন ২০২৩ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নার্গেস মোহাম্মদী। তার অবস্থান এবং স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। যদিও কর্তৃপক্ষ তার পরিস্থিতি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কিছু জানায়নি।

নারী বন্দীদের চিঠি: ‘বিদেশি শক্তির উপর নির্ভর নয়’

যুদ্ধ চলাকালে, এভিন কারাগারে আটক চারজন ইরানি নারী অধিকারকর্মী – গোলরোখ ইব্রাহিমি ইরাই, ভেরিশেহ মোরাদি, সাকিনেহ পারভানেহ ও রেহানেহ আনসারিনেজাদ – এক খোলা চিঠিতে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানান। একইসাথে তারা সতর্ক করেন, বিদেশি শক্তির উপর নির্ভর করে শাসন পরিবর্তনের চিন্তা বিভ্রান্তিকর।

তারা লিখেছেন:

“আমাদের মুক্তি আসবে একনায়কতন্ত্র বিরোধী জনগণের সংগ্রাম ও সামাজিক শক্তির উপর নির্ভর করে — বিদেশি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে নয়।”

ইরান সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া

রবিবার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান আবদুর রহিম মুসাভি বলেন,

“আমরা যুদ্ধ শুরু করিনি, তবে আমরা পূর্ণ শক্তিতে আক্রমণের জবাব দিয়েছি। শত্রু যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে কিনা, তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। যদি তারা আবার হামলা করে, তবে আমরাও প্রতিরোধে প্রস্তুত।”

Watermark