বার্তালাইভ.কম ।। আন্তর্জাতিক
সম্প্রতি জাতিসংঘের এক বিশেষজ্ঞ রিপোর্টে ৬০টিরও বেশি বড় বড় কোম্পানিকে ইসরায়েলের অবৈধ বসতি স্থাপন এবং গাজায় সামরিক অভিযানে সরাসরি সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই রিপোর্টে তাদের কার্যক্রমকে “গণহত্যামূলক অভিযান” হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
ইতালির মানবাধিকার আইনজীবী ফ্রানচেসকা আলবানিজ, যিনি জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করছেন, ২০০টির বেশি তথ্য, দলিল ও প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এই রিপোর্ট তৈরি করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, গাজায় যখন হাজার হাজার মানুষের জীবন বিনষ্ট হচ্ছে এবং পশ্চিম তীরের ওপর অব্যাহত হামলা চলছে, তখন এই সকল কোম্পানি এই নির্যাতন থেকে লাভবান হচ্ছে।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, লকহিড মার্টিন, লিওনার্দো, ক্যাটারপিলার, এইচডি হুন্ডাই এর মতো বড় বড় অস্ত্র এবং ভারী যন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞে সরঞ্জাম সরবরাহ করছে। ক্যাটারপিলার ইতোমধ্যে জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে।
টেকনোলজি সেক্টরে আলফাবেট, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট এবং আইবিএমকেও ইসরায়েলের নজরদারি ব্যবস্থায় অবদান রাখার জন্য দায়ী করা হয়েছে। যদিও আলফাবেট বলেছে, তাদের ক্লাউড সেবা সামরিক কাজে ব্যবহার হয় না। পালান্টির টেকনোলজিসকেও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সরঞ্জাম সরবরাহের অভিযোগ এসেছে।
ইসরায়েল জাতিসংঘের প্রতিবেদনটিকে “আইনগত ভিত্তিহীন এবং মানহানিকর” বলে খণ্ডন করেছে।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক আদালতে গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড নিয়ে গণহত্যার মামলা চলছে। গাজার প্রায় ১.৫ মিলিয়ন মানুষ খাদ্য সংকটের মুখে এবং ৫৬,৫০০’র বেশি প্যালেস্টাইনি নিহত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে এই প্রতিবেদন আগামী বৃহস্পতিবার উপস্থাপন করা হবে। যদিও পরিষদের সিদ্ধান্ত বাধ্যতামূলক নয়, তবে এর তদন্ত প্রতিবেদনের প্রভাব আন্তর্জাতিক বিচারপ্রক্রিয়ায় চোখে পড়ার মতো।
সূত্র: রয়টার্স