বাংলাদেশের লাখো মানুষ আজীবনের সঞ্চয় খরচ করে পাড়ি জমান মধ্যপ্রাচ্যে। কেউ যান রোজগারের আশায়, কেউ জীবন পাল্টাতে। কিন্তু, আইন উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল সম্প্রতি একটি মন্তব্যে সেই স্বপ্ন-ভবিষ্যতের এক অন্ধকার দিক তুলে ধরেন।
তিনি বলেন,
“মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশেরই অল্প কিছু লোকের বাজে কাজের জন্য বাকিরা সমস্যায় পড়ে। বাজে কাজ করে দশ জন, আর এজন্য সাফার করে দশ হাজার, দশ লাখ লোক।”
ড. আসিফ নজরুলের বক্তব্য অনুযায়ী, সৌদি আরবের কিছু জায়গায় বাংলাদেশি মাস্তানরা এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে,
বাসায় ঢুকে ছিনতাই, লুটপাট করে, এমনকি হাত কেটে ফেলে।
এসব এলাকায় স্থানীয়রা আতঙ্কে, এবং পুলিশে জানালে পুরো কমিউনিটির উপর চাপ পড়ে।
তিনি আরও বলেন,
“আমি মধ্যপ্রাচ্যে কয়েকবার গিয়েছি। শুনেছি নিয়মিত ঘোষণা দিয়ে সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকজন পরস্পরের সঙ্গে মারামারিতে লিপ্ত হয়।”
এই অবস্থার জন্য তিনি শুধু অপরাধীদের নয়, সচেতন প্রবাসীদেরও দায়ী করছেন। কারণ অনেকেই মুখ খোলেন না, কারণ ভয়— “যদি একজনের জন্য সবাইকে বের করে দেয়।”
ড. নজরুল বলেন,
“বাহরাইনে বাংলাদেশ থেকে লোক পাঠানো বন্ধ হয়েছে কারণ সেখানে একজন মালিককে মেরে ফেলা হয়েছে।”
এমন ঘটনার কারণে পুরো দেশের শ্রমবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকারিভাবে নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে হাজার হাজার নিরীহ কর্মী, যারা হয়তো শুধু একটা রোজগারের আশায় দেশ ছেড়েছিলেন।