বার্তালাইভ.কম ।। লাইফস্টাইল
বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের দেহে অনেক পরিবর্তন ঘটে। শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াগুলি ধীর হয়ে যায়, যার প্রভাব পড়ে আমাদের ত্বক ও চেহারায়। বয়সের ছাপ সাধারণত ত্বকেই সবচেয়ে আগে দেখা যায়। তবে কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করে আপনি ত্বককে তরুণ এবং সুন্দর রাখতে পারেন — যেমন: খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, সানস্ক্রিন ব্যবহার, পর্যাপ্ত পানি পান, ও প্রয়োজনে প্লাস্টিক সার্জারি।
বয়স কম থাকলে অনেকেই খাবার নিয়ে ভাবেন না, কিন্তু বয়স বাড়লে পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা বাড়ে। গবেষণা বলছে, খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে ত্বকের সুস্থতার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। খারাপ খাবার ব্রণ ও অকাল বার্ধক্যের কারণ হতে পারে।
যে খাবারগুলো ত্বককে তরুণ রাখে:
ধীরে ধীরে অভ্যাসে পরিবর্তন আনুন। প্রথমে ছোট পরিবর্তন, পরে বড়।
যদি আপনি নিয়মিত পানি না পান করেন, তবে আপনার ত্বক নিষ্প্রাণ ও রুক্ষ হয়ে উঠতে পারে।
পানির পরামর্শ (WebMD অনুযায়ী):
লেবু বাম পাতার নির্যাস (চায়ের উপাদান) ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়।
ঘুমের অভাবে চোখ লাল, ফোলা, কালো দাগসহ ত্বক ফ্যাকাশে ও কুঁচকে যেতে পারে।
ঘুমের পরামর্শ (National Sleep Foundation):
যদি ঘুমে সমস্যা হয়, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
নিয়মিত ব্যায়ামে রক্ত চলাচল বাড়ে, যা ত্বককে পুষ্টি সরবরাহ ও বর্জ্য অপসারণে সাহায্য করে।
ব্যায়ামের সময়সীমা (American Heart Association):
বন্ধুর সঙ্গে একসাথে ব্যায়াম করুন — এতে অভ্যাস গড়ে উঠবে সহজে।
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের কোলাজেন নষ্ট করে, ফলে ত্বক ঢিলা ও বলিরেখা পড়ে।
পরামর্শ:
রেটিনয়েড ত্বকে কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে এবং বলিরেখা হ্রাস করে।
উপকারিতা:
প্রথমে ত্বক শুষ্ক হতে পারে — প্রতি দিন নয়, একদিন পরপর ব্যবহার করুন এবং সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করুন।
চেহারার বলিরেখা বা ঝুলে যাওয়া ত্বক সারাতে নিচের কিছু পদ্ধতি কার্যকর হতে পারে:
এই পানীয়গুলো শরীর থেকে পানি বের করে দেয়, ফলে ত্বক রুক্ষ ও বার্ধক্যপ্রবণ হয়।
এই পানীয় গ্রহণ করলে সাথে প্রচুর পানি পান করুন।
ধূমপানে ত্বকের স্থায়ী ক্ষতি হয় — যেমনঃ
ধূমপান ছাড়ার উপায়:
প্রতিদিন মুখ ধোয়া ও ময়েশ্চারাইজ করা ত্বকের কোষ পুনর্গঠনে সাহায্য করে।
পদ্ধতি:
ঘন ঘন ভ্রু কুঁচকানো, ঠোঁট বাঁকানো বা বেশি হাসলে বলিরেখা পড়তে পারে।
চেষ্টার বিষয়:
ত্বককে তারুণ্যদীপ্ত রাখতে চাইলে খাবার, ঘুম, পানি পান, ব্যায়াম, সানস্ক্রিন, রেটিনয়েড ব্যবহার — এই বিষয়গুলোর উপর নজর দিন। ধূমপান ও অ্যালকোহল বাদ দিন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সহায়তা নিন।