বার্তালাইভ.কম।। ব্রাহ্মণবাড়িয়া (বাঞ্ছারামপুর) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, তুখোড় জাতীয়তাবাদী ছাত্রনেতা শাহজাহান হাওলাদার সুজনের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা বিএনপি ও গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে সুজন স্মৃতি পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন ও উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচি পালন করা হয়। সকাল ১০টায় সুজন স্মৃতি পরিষদ, ১১টায় গণসংহতির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে এবং ১২টায় উপজেলা বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতারা তার কবরে ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও তাবারক বিতরণ করেন।
পরে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে সুজন স্মৃতি কলেজ মাঠে বিশাল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বিএনপির প্রবীণ নেতা নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি এম.এ খালেক পিএসসি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট মীর হালিম, বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ম.ম. ইলিয়াস, নেতা ভিপি নাজমুল হুদা, ভিপি আমিরুল ইসলাম সাজ্জাদ, ভিপি মজিব, ইউনুস বিএসসি, মুসা হায়দার, একরাম হায়দার, কবীর হোসেন, শাহনেওয়াজ হাওলাদার প্রমুখ। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রফিক শিকদারও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সাবেক এমপি এম.এ খালেক তার বক্তব্যে বলেন,
“তুখোড় ছাত্রনেতা সুজন ১৯৯৪ সালের উপনির্বাচন এবং ১৯৯৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০১ সালের ৩ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বরের পাশে তার মরদেহ পাওয়া যায়। এখনো তার হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হয়নি। বিএনপি ভবিষ্যতে ক্ষমতায় এলে এ হত্যার বিচার করা হবে।”
বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বলেন,
“নিন্দুকেরা সুজনের প্রাণ নিলেও তাঁর আদর্শ ও প্রেরণা মুছে ফেলতে পারেনি। সুজন আজীবন জাতীয়তাবাদী আদর্শ অনুসারীদের মনে বেঁচে থাকবেন। তাঁর স্মৃতি ও পরিবারের প্রতি সুবিচার নিশ্চিত করাই আমাদের প্রত্যাশা।”
আলোচনায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইব্রাহিম সরকার, রোমান আহমেদ, শাওন আহমেদ, সিফাত আহমেদ, জামির মিয়া ও ফয়সাল মিয়া।
এদিকে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন,
“স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সুজনের বলিষ্ঠ ভূমিকা তাকে ইতিহাসে স্মরণীয় করে রেখেছে। তাঁর অসাধারণ বক্তৃতা ও নেতৃত্বের গুণে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান তাঁকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। আমরা আজও তাঁর সহযোদ্ধা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মুখে তাঁর গল্প শুনে অনুপ্রাণিত হই।”