বার্তালাইভ.কম ।।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতা সারজিস আলম ফেসবুকে একটি ক্ষোভপূর্ণ পোস্টে কালবেলা ও কালের কণ্ঠ-এর মতো দেশের শীর্ষস্থানীয় কিছু মিডিয়া হাউজের বিরুদ্ধে “মিথ্যা প্রচারণা”, “চরিত্রহননের উদ্দেশ্যপূর্ণ সংবাদ পরিবেশন” এবং “সাংবাদিকতার নামে ছ্যাচরামি” করার অভিযোগ এনেছেন।
ছবি দেখে মনে হচ্ছে সারজিস কোথাও থেকে অবৈধ টাকা অর্জন করেছে। এরপরে বন্ধুর বাসায় রেখেছে। সেই বন্ধুর বাসা থেকে এই টাকা উদ্ধার করা হয়েছে!
অথচ নিউজ হলে হওয়া উচিত ছিল—সারজিসের বন্ধুর বাসা থেকে তিন বস্তা টাকা পাওয়ার বিষয়টি মিথ্যা/গুজব।
কোথাকার কোন চোর, কিসের টাকা চুরি, যেসব সম্পর্কে আমার বিন্দুমাত্র ধারণা নাই, তাদের সাথে প্রথমে বন্ধুর ট্যাগ দেয়া, এরপরে ছবি এড করে দিয়ে সাংবাদিকতার নামে যে ছ্যাচরামি আপনারা করছেন এগুলো সাংবাদিকতার ন্যূনতম এথিক্সের পর্যায়ে পড়ে না।
কমেন্টে থাকা আপনাদের নিউজের লিংক ১০% মানুষও পড়েনা।
বাকি মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য কিংবা আমাদেরকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য আপনাদের এই নোংরামিগুলোই যথেষ্ট।
নাহলে আগামীতে আমাদেরও লেখা শুরু করতে হবে—
‘শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী আমলে হাজারের অধিক বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সন্তোষ শর্মার সম্পৃক্ততা সম্পর্কে যা জানা গেল…’
কিংবা
‘সারাদেশে বসুন্ধরা গ্রুপের হাজার কোটি টাকার অবৈধ জমি দখল, খুন এবং ধর্ষণ সম্পর্কে যা জানা গেল…’
সাংবাদিকতায় পেশাদারিত্ব বজায় রেখে সাংবাদিকতা করুন।
নাহয় কতিপয় তথাকথিত সাংবাদিকের জন্য এই সম্মানের পেশায় থাকা ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, পেশাদার, আপোসহীন সাংবাদিকদেরকে আগামীতে সম্মানহানীর মুখে পড়তে হবে।”
সারজিস আলমের এই পোস্টটি আসে এমন এক সময়ে, যখন এনসিপি ও গণআন্দোলনের সঙ্গে জড়িত একাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কিছু মিডিয়ায় প্রচারণা, ছবি সহ গুজব-সংক্রান্ত খবর প্রকাশ নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে, এসব রিপোর্টে ঘটনার সত্যতা যাচাই ছাড়াই সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা, ছবির মাধ্যমে ইঙ্গিতবাহী প্রচারণা চালানো হচ্ছে।