বার্তালাইভ.কম ।। কুমিল্লা
২০১৫ সালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পেট্রোল বোমা হামলা ও কাভার্ডভ্যান অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা ও নাশকতার তিনটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে মামলাগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবেচনায় আইন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাকি আসামিদের বিরুদ্ধেও মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার (৮ জুলাই) বিকালে কুমিল্লা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. কাইমুল হক রিংকু বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুর এলাকায় একটি বাসে পেট্রোল বোমা হামলায় ৮ যাত্রী নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি পৃথক মামলা করে পুলিশ। তৎকালীন চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে এসব মামলা দায়ের করেন। মামলার চার্জশিটে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ মোট ৭৮ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
সরকার পরিবর্তনের পর মামলাগুলোর শুনানিতে দেখা যায়, ওই সময় খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন এবং ঘটনার সঙ্গে তার সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিচারক সফিকুল ইসলাম (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২) তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় খালেদা জিয়াকে মামলাগুলো থেকে অব্যাহতি দেন।
অন্যদিকে, ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রামের হায়দারপুর এলাকায় কাভার্ডভ্যান পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় আরেকটি নাশকতার মামলা হয়, যাতে খালেদা জিয়াসহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়। পরবর্তীতে আরও ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয়া হয়। এই মামলায়ও সরাসরি সংশ্লিষ্টতা না থাকায় বিচারক আফরোজা শিউলি (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত) তাকে অব্যাহতি দেন।
জেলা পিপি কাইমুল হক রিংকু জানান, এই তিনটি মামলাই বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দায়ের হয়েছিল—এমন বিবেচনায় আইন মন্ত্রণালয়ে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়। মন্ত্রণালয় আবেদন মঞ্জুর করে মামলা তিনটি প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়।
তিনি আরও বলেন, “এখন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় আর কোনো মামলা নেই।”