ফেনী প্রতিনিধি | ৯ জুলাই ২০২৫

ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং কয়েক দিনের টানা ভারি বর্ষণে ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলায় মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধের অন্তত ১০টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর ফলে অন্তত ১৫টির বেশি গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে এবং কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

বাঁধ ভাঙেছে কোথায় কোথায়?

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাতে চিথলিয়া ইউনিয়নের মধ্যম ধনীকুন্ডা, নোয়াপুর, শালধর ও পশ্চিম অলকা এলাকায় মুহুরী নদীর বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। পাশাপাশি মির্জানগর ইউনিয়নের পশ্চিম গদানগর, জঙ্গলঘোনা, উত্তর মনিপুর দাসপাড়া ও মেলাঘর এলাকায় সিলোনিয়া নদীর চারটি স্থানে ভাঙনে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে।

প্লাবিত গ্রামগুলোর তালিকায় রয়েছে:

• পূর্ব রাঙ্গামাটিয়া
• পশ্চিম অলকা
• নোয়াপুর
• সাতকুচিয়া
• পূর্ব অলকা
• জঙ্গলঘোনা
• পশ্চিম গদানগর
• মধ্যম ধনীকুন্ডা
• উত্তর ধনীকুন্ডা
• উত্তর ও মধ্যম মনিপুর
  …এছাড়াও আশপাশের আরও কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে।

প্রশাসনের পদক্ষেপ

চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আইয়ুব জানান, প্লাবিত এলাকার মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম বলেন, “মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানিপ্রবাহ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় বাঁধ ভেঙে গেছে এবং বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।”

খুলেছে ১৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলায় ১৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্গতদের জন্য ৬ লাখ টাকা জরুরি সহায়তা, রান্না করা খাবার ও শুকনো খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ শুরু হয়েছে।