জাতীয় প্রতীক ‘শাপলা’কে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে তফসিলভুক্ত না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে কোনো রাজনৈতিক দল তাদের দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ ব্যবহার করতে পারবে না।
সংক্ষেপে মূল তথ্য:
‘শাপলা’কে প্রতীক হিসেবে অনুমোদন দিচ্ছে না ইসি।
এনসিপি ও নাগরিক ঐক্য এই প্রতীক চেয়েছিল।
জাতীয় প্রতীকের মর্যাদা রক্ষায় এই সিদ্ধান্ত।
বর্তমান প্রতীক ৬৯টি, বাড়িয়ে ১০০+ করার পরিকল্পনা।
সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচন কমিশনের কাছে নিবন্ধনের আবেদন করে এবং দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ দাবি করে। এছাড়া তাদের পছন্দের তালিকায় আরও ছিল ‘কলম’ ও ‘মোবাইল ফোন’। অন্যদিকে নাগরিক ঐক্য দলও শাপলা প্রতীক চেয়েছিল, যদিও তারা এর আগে পেয়েছে ‘কেটলি’। প্রতীক পরিবর্তনের আবেদন করে তারা নতুন করে শাপলা ও দোয়েলকে তাদের পছন্দের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
২ জুলাই প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে দেখা করার পর নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার সাংবাদিকদের জানান, “আমরা যখন নিবন্ধন পাই, তখন পছন্দমতো প্রতীক পাইনি। তাই ১৭ জুন আমরা প্রতীক পরিবর্তনের আবেদন করি।”
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ প্রথম আলোকে জানান, “জাতীয় প্রতীক ও জাতীয় পতাকার সম্মান রক্ষায় আইন আছে। যদিও জাতীয় ফুল বা ফল নিয়ে আলাদা কোনো আইন নেই, তবে এসব বিবেচনায় ‘শাপলা’কে প্রতীক হিসেবে অনুমোদন না দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।” তিনি আরও জানান, অতীতেও কিছু দল শাপলা প্রতীক চাইলেও তা দেওয়া হয়নি।
বর্তমানে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তফসিলে ৬৯টি প্রতীক রয়েছে। তবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসি প্রতীকের সংখ্যা ১০০-এর বেশি করতে চায়। এ লক্ষ্যে প্রতীক তালিকার সংশোধনী শিগগির আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।