সংক্ষেপে:
বিস্তারিত প্রতিবেদন:
২৫ বছর বয়সী ভারতের রাজ্য-পর্যায়ের টেনিস খেলোয়াড় রাধিকা যাদবকে গুলি করে হত্যা করেছেন তার বাবা, কারণ তিনি মেয়ের রিল বানানো নিয়ে বিরক্ত ছিলেন। রাধিকা সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হতে চেয়েছিলেন এবং নিয়মিত ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ভিডিও রিল পোস্ট করতেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে, গুরুগ্রামের সেক্টর ৫৭ এলাকার তাদের বাড়ির প্রথম তলায়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অভিযুক্ত বাবা রাধিকাকে লক্ষ্য করে তিনটি গুলি চালান। গুরুতর আহত অবস্থায় রাধিকাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসার সময়ই তিনি মারা যান। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাধিকার বাবাকে গ্রেপ্তার করে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রিভলভারটি জব্দ করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাধিকাকে নিয়ে গ্রামের মানুষদের কটাক্ষ এবং সামাজিক সম্মানহানির আশঙ্কায় দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপে ছিলেন তার বাবা। তিনি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, মেয়ের ভিডিও পোস্ট করা তার মান-সম্মানে আঘাত আনছে, এজন্য তিনি চরম সিদ্ধান্তে পৌঁছান।
সেক্টর ৫৬ থানার ইনচার্জ বলেন, “হাসপাতাল থেকে আমরা খবর পাই এক ২৫ বছর বয়সী নারী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তিনটি বুলেট ইনজুরি ছিল তার শরীরে। প্রথমে আমরা তার কাকার সঙ্গে কথা বলি, কিন্তু তিনি কিছু জানাননি। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি, তার বাবা গুলি চালিয়েছেন।”
রাধিকা যাদব ছিলেন এক প্রতিভাবান টেনিস খেলোয়াড়, যিনি রাজ্য ও জাতীয় পর্যায়ে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং বহু পুরস্কার জিতেছেন। তবে দুই বছর আগে এক গুরুতর চোটের কারণে তাকে পেশাদার টেনিস ছেড়ে দিতে হয়। এরপর থেকেই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হয়ে ওঠেন এবং ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার চেষ্টা করছিলেন।
এই মর্মান্তিক ঘটনা ভারতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।