Top Header
Author BartaLive.com
তারিখ: ১১ জুলাই ২০২৫, ০৬:২৬ অপরাহ্ণ

পাকিস্তানের অভিনেত্রী হুমায়রা আসগর আলীর মরদেহ নিতে বাবা-ভাই অস্বীকৃতি জানান

News Image

পাকিস্তানের অভিনেত্রী ও সোশ্যাল মিডিয়া তারকা হুমায়রা আসগর আলীর মরদেহ প্রায় ৯ মাস পর করাচির নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও মরদেহ উদ্ধার হয়েছে ২০২৫ সালের জুলাইয়ে, পুলিশের তদন্ত ও পোস্টমর্টেমে উঠে এসেছে যে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল ২০২৪ সালের অক্টোবরেই। করাচি পুলিশের সার্জন ডা. সুমাইয়া সাঈদ জানান, মরদেহটি ছিল “অত্যন্ত পচনধরা অবস্থায়”, যা দীর্ঘদিনের মৃত্যুর ইঙ্গিত দেয়।

তদন্তে দেখা গেছে, হুমায়রার মোবাইল ফোন শেষবার ব্যবহৃত হয় অক্টোবর ২০২৪-এ, বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয় ওই সময়েই বিল না দেওয়ার কারণে। বাসার ভেতরে কোনো মোমবাতি বা বিদ্যুৎ সরবরাহের বিকল্পও পাওয়া যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাঁকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে।

হুমায়রা ছিলেন পাকিস্তানের বিনোদন ও সোশ্যাল মিডিয়া জগতের পরিচিত মুখ, বিশেষ করে টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে তাঁর ছিল উল্লেখযোগ্য অনুসারী। তবে তাঁর বাস্তব জীবন ছিল অনেকটাই একাকী। গত সাত বছর ধরে তিনি একা বসবাস করছিলেন এবং কর্মসূত্র ছাড়া খুব একটা বাইরে যেতেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝলমলে জীবনের প্রদর্শনের আড়ালে তিনি ছিলেন একা, নিঃসঙ্গ ও সমাজ থেকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন।

সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর বিষয় হচ্ছে, হুমায়রার পরিবার তাঁর মরদেহ দাবি করেনি। তাঁর বাবা, ড. আসগর আলী (সাবেক সেনা চিকিৎসক), পুলিশকে জানান যে, তাঁদের সঙ্গে হুমায়রার দীর্ঘদিন কোনো সম্পর্ক ছিল না এবং তিনি মরদেহ নিতে অস্বীকৃতি জানান। হুমায়রার ভাইও মরদেহ দাবি করতে অস্বীকৃতি জানান। পরে একমাত্র হুমায়রার ভগ্নীপতি করাচিতে এসে মরদেহ গ্রহণে রাজি হন।

ডন পত্রিকার প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, হুমায়রার মরদেহ গ্রহণে রাজি হয়েছেন বিনোদন অঙ্গনের কয়েকজন সদস্য এবং সিন্ধু সংস্কৃতি বিভাগ। যদি পরিবার থেকে কেউ না আসে, তাহলে তাঁর দাফনের দায়িত্ব তাঁরা নেবেন বলে জানিয়েছেন।

এই ঘটনাটি এখনো তদন্তাধীন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আরও তথ্য আসার অপেক্ষায় রয়েছে। হুমায়রার মর্মান্তিক মৃত্যু পাকিস্তানের বিনোদন অঙ্গনে গভীর শোক ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

Watermark