Top Header
Author BartaLive.com
তারিখ: ১১ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৩ অপরাহ্ণ

পাথর মেরে নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার

News Image

পুরান ঢাকায় সোহাগ নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (মিটফোর্ড) সামনে। নিহত সোহাগের বয়স ৩৯ বছর ছিল এবং তাকে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও ইট-সিমেন্টের টুকরো দিয়ে থেঁতলে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় পুলিশ ও র‍্যাব যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার এজাহারভুক্ত দুজনকে পুলিশের হাতে এবং বাকি দুজনকে র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে দুইজনের নাম জানা গেছে, তারা হলেন— মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও তারেক রহমান রবিন (২২)।

ঘটনা অনুযায়ী, গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে সোহাগকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ভাঙাড়ির ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের পর সোহাগকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনা ঘটানোর পরপরই কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহত সোহাগের বড় বোন তার ভাইয়ের হত্যার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ডিএমপি (ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ) ডিমিয়া শাখার উপকমমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করে এবং একপর্যায়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামিকে উদ্ধার করে। অভিযানে রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তলও উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে, ব্যবসায়িক বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার কারণে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। ঘটনার পরপরই র‍্যাবও অভিযান চালিয়ে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, বলে জানিয়েছেন ডিসি মোহাম্মদ তালেবুর রহমান।

Watermark