দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সালমান মুহাম্মদ মুক্তাদির ফেসবুকে পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, “লীগ মারা খাইলে বিএনপির পোলাপান খুশি হয়। বিএনপি মারা খাইলে লীগের পোলাপান খুশি হয়। আপনার যে প্রতিটা ধর্ষণ আর খুনে কষ্ট হয়, পাশের রাজনৈতিক ঘরানার মানুষগুলো তাতেই আনন্দ পায়।”
তিনি বলেন, “জাতীয় সংকটে কোনো দল বা গোষ্ঠী যদি আপনার পাশে দাঁড়ায়, তার মানেই এই নয় যে তারা ন্যায়বিচারের পক্ষের শক্তি। বরং তারা হয়তো আপনার আবেগকে কাজে লাগিয়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করতে চায়। তারা আপনাকে ভেঙে ফেলতে চায়, অসহায় করে তুলতে চায়, যাতে আপনি তাদেরই ‘ত্রাতা’ ভেবে বসেন।”
সালমানের মতে, “আপনার পাশে নিঃস্বার্থভাবে যারা দাঁড়িয়েছিল, তারা কেউ মরে গেছে, কেউ হারিয়েছে শরীরের অঙ্গ। তারা চেয়েছিল অপরাধের বিচার হোক, দল যেই হোক, তাতে কিছু আসে যায় না।”
তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, “যদি আপনার লক্ষ্য হয় শুধুই একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে ঘায়েল করা, তাহলে আপনি পক্ষপাতদুষ্ট। আপনি অপরাধের বিরুদ্ধে নন, আপনি শুধুই ওই দলের অপরাধের বিরুদ্ধে। এতে কখনোই দেশে প্রকৃত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে না।”
শোহাগ নামের এক নির্যাতিত তরুণের ঘটনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ওই ঘটনার ভিডিও ইন্টারনেটে আসতে সময় লেগেছে দু’দিন। অথচ এতগুলো গোয়েন্দা সংস্থা, প্রশাসন, দল, আন্দোলন—কেউই কিছু জানল না? কেউ কিছু বলল না? কেউ দায় নিল না?”
তিনি ব্যঙ্গ করে লেখেন, “তাহলে কি আমরা মেনে নিচ্ছি, আজকাল ফেসবুকের কিশোর-তরুণরাই দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর থেকেও দ্রুত, সচেতন আর মানবিক?”
সবশেষে সালমান মুক্তাদির কটাক্ষ করে লেখেন, “আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশে আমাকেও একটা মন্ত্রণালয় দেন। ওটার নাম হবে ‘মজা মন্ত্রণালয়’।”