চাঁদাবাজি ও এলাকাভিত্তিক আধিপত্য বিস্তারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ—এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে পুরান ঢাকার মিল ব্যারাকে ঢাকা জেলা পুলিশ লাইন, রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স (আরআরএফ) এবং ট্রাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুল (টিডিএস) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “ঢাকায় এলাকাভিত্তিক গোয়েন্দা পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে—যাদের সুনাম নেই, যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাদের সুনির্দিষ্ট তালিকা তৈরি করতে হবে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রিভেন্টিভ ডিটেনশনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
আইজিপি আরও বলেন, “দেশব্যাপী সার্বিক আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন। কারণ, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় শুধু পুলিশ নয়, রাজনৈতিক নেতৃত্বের দিক থেকেও ইতিবাচক ভূমিকা দরকার।”
তিনি স্বীকার করেন, দীর্ঘ ১৫ বছরে দেশের সামাজিক ও প্রশাসনিক কাঠামো জটিল হয়ে উঠেছে। তার ভাষায়, “এই কয়েক মাসে সেই জটিলতা থেকে একেবারে বের হয়ে আসা সম্ভব হচ্ছে না, তবে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।”
পুলিশ বাহিনীর বর্তমান বাস্তবতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বাহারুল আলম বলেন, “প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে—এই বাহিনীকে অতীতের একটি ট্রমাটিক অভিজ্ঞতা থেকে বের করে এনে পুরোপুরি কার্যকর করে তোলা। এই জায়গায় আমি এখনো সন্তুষ্ট না, তবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।”
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন আইজিপি। তিনি বলেন, “আমরা নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু এবং একটি ঐতিহাসিক নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছি। এজন্য সব রাজনৈতিক দলের সহায়তা প্রয়োজন।”
তার বক্তব্যে উঠে আসে, “একটি গণতান্ত্রিক ও নির্বাচিত সরকার গঠনের জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করা রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব নয়। আমরা সবাইকেই আহ্বান জানাচ্ছি—জাতির স্বার্থে পাশে দাঁড়ান।”