Top Header
Author BartaLive.com
তারিখ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৭:১৬ অপরাহ্ণ

১১৬ কোটি টাকায় বিক্রি হলো জেন বারকিনের আসল বারকিন ব্যাগ

News Image

প্যারিস, ১০ জুলাই – ফরাসি-ব্রিটিশ অভিনেত্রী ও গায়িকা জেন বারকিনের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা আসল বারকিন ব্যাগটি প্যারিসে এক নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হয়েছে। সথেবির (Sotheby’s) জানায়, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ওই নিলামে ব্যাগটি ৮.৬ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ১০.০৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)=১০ মিলিয়ন ডলার (USD) বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী (প্রতি ১ ডলার ≈ ১১৬ টাকা ধরলে) বাংলাদেশি মুদ্রায় হবে: ১০,০০০,০০০ × ১১৬ = ১,১৬,০০,০০,০০০ টাকা দামে বিক্রি হয়।

ফ্যাশনের ইতিহাস অনুযায়ী, ১৯৮৪ সালে এক বিমানে হারমেস (Hermès)-এর নির্বাহী জ্যাঁ-লুই ডুমা (Jean-Louis Dumas)-এর পাশে বসে জেন বারকিন বলেছিলেন, তিনি এমন একটি ব্যাগ খুঁজছেন যা যেমন স্টাইলিশ, তেমনই ব্যবহারযোগ্য—বিশেষ করে একজন তরুণী মায়ের প্রয়োজনে। তখনই ডুমা কাগজে একটি ব্যাগের নকশা আঁকেন—আয়তাকার একটি ব্যাগ, যাতে শিশুর দুধের বোতল রাখার আলাদা জায়গা থাকবে।

এই একটিমাত্র ব্যাগ বারকিনের জন্য তৈরি করা হয়েছিল, পরে ছোট আকারে সাধারণ বাজারে ছাড়া হয়। দেখতে দেখতে এই ব্যাগ বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং হারমেস ব্র্যান্ডের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ছবি: রয়টার্স

আজকাল একটি সাধারণ বারকিন ব্যাগের দামই ১০ হাজার ডলারের বেশি। তবে জেন বারকিনের সেই প্রথম ব্যাগটি ছিল অনন্য—ফ্ল্যাপের উপর ‘J.B.’ আদ্যক্ষর খোদাই করা এবং এতে থাকা কাঁধের স্ট্র্যাপটি খুলে ফেলার সুযোগ নেই, যা পরবর্তী মডেলগুলোর চেয়ে আলাদা। সথেবির জানায়, ব্যাগটি এক জাপানি সংগ্রাহক টেলিফোনে বিড করে কিনে নেন।

এটি এখন পর্যন্ত কোনো ফ্যাশন পণ্যের জন্য রেকর্ড মূল্য। সথেবির ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের হ্যান্ডব্যাগ ও ফ্যাশন বিভাগের প্রধান ওরেলি ভাসি বলেন, “এটি আসলে একটি ট্রাভেল ব্যাগ ছিল। জেন বারকিন এটি টানা নয় বছর প্রতিদিন ব্যবহার করেছেন, অথচ আজও এটি অসাধারণ রূপে টিকে আছে।”

বারকিন এই ব্যাগটি প্রথম নিলামে তুলেছিলেন ১৯৯৪ সালে, ফ্রান্সের এইচআইভি/এইডস বিরোধী দাতব্য সংস্থা Sidaction-এর জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে। পরে ২০০০ সালে এক ফরাসি সংগ্রাহক ব্যাগটি কিনে নেন।

২০২৩ সালে জেন বারকিন মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে প্যারিসের মেয়র আনে ইদালগো তাঁকে স্মরণ করে বলেছিলেন, “সবচেয়ে প্যারিসিয়ান ইংরেজ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।”

১৯৬০-এর দশকের শেষদিক থেকে ফ্রান্সে বসবাসরত বারকিন তাঁর অভিনয় ও সংগীতের পাশাপাশি মানবিকতা ও সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের জন্যও স্মরণীয় হয়ে আছেন। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত গানের একটি ছিল সের্জ গেইনসবুরের সঙ্গে গাওয়া “Je t’aime… moi non plus”।

Watermark