অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ হিসেবে ঘোষণা করার একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট সম্প্রতি একটি রুল জারি করেছে। তবে এ বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূস নিজেই এমন কোনো উপাধি পেতে অনিচ্ছুক বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) পাঠানো এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ অধ্যাপক ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণার বিষয়ে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। আদালতের আদেশের অনুলিপি পাওয়ার পর সরকার যথাযথভাবে এর জবাব দেবে। তবে সরকার স্পষ্ট করে জানায় যে, অধ্যাপক ইউনূস নিজে এ ধরনের কোনো পদবির পক্ষে নন, এবং সরকারও তাঁকে এ উপাধি দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা করছে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যে রিটের ভিত্তিতে আদালত রুল জারি করেছেন, তা একজন ব্যক্তি স্বতন্ত্রভাবে দায়ের করেছেন বলে মনে হচ্ছে। ঠিক কী ভিত্তিতে তিনি এই আবেদন করেছেন, সেটাও পরিষ্কার নয়। বিষয়টি অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় পর্যালোচনা করছে।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রীয় সংস্কারে অবদানের কারণে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ হিসেবে ঘোষণা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না—তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট সোমবার (১৪ জুলাই) একটি রুল জারি করে। বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এ রিটটি করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য এমদাদুল হক, যা এ বছরের মে মাসে দায়ের করা হয়।