কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালীতে জমি সংক্রান্ত পুরোনো বিরোধের জেরে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলায় রহিম উদ্দিন সিকদার (৫৫) নামের এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। তিনি ভারুয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও যুবদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে রবিবার (১৩ জুলাই) রাতে ভারুয়াখালীর ফাতেরঘোনায় তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়।
পরিবার জানায়, স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও ফাতেরঘোনা ইউনিট সভাপতি আব্দুল আল নোমান, তার জামাতা মিজান, ও ঘনিষ্ঠ অনুসারীরা পূর্ব বিরোধের জেরে রহিম উদ্দিন ও তার ভাইদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। হামলায় গুরুতর আহত রহিম উদ্দিনকে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাঁকে চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, সেখানেই তিনি মারা যান।
নিহতের বড় ভাই ও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান বলেন, “এটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। স্থানীয় জামায়াত নেতা ও তাঁর আত্মীয়রা এই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন।”
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে কক্সবাজার জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ আহম্মেদ উজ্জল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “ফাতেরঘোনা জামায়াত সভাপতির হাতে আমাদের সহযোদ্ধা, সাবেক যুবদল নেতা রহিম উদ্দিন সিকদার শহীদ হয়েছেন। আমরা তাঁর হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।”
অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মন্তব্য না করলেও, জেলা জামায়াতের আমীর নুর আহমদ আনোয়ারীর মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। জামায়াতের জনসংযোগ বিভাগ থেকেও সাড়া মেলেনি।
এদিকে ঘটনার পর কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে। থানার ওসি মো. ইলিয়াস জানান, “প্রাথমিকভাবে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
এ হত্যাকাণ্ড ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও টহল জোরদার করা হয়েছে।