যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, গোপালগঞ্জের সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছে। তিনি বলেন, “আমি যতটুকু দেখেছি, তারা অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে এবং সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।”
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘যুব উদ্যোক্তা: বিনিয়োগ, নীতি ও ইকোসিস্টেম’ শীর্ষক এক কর্মশালার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
গতকাল গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আয়োজিত সমাবেশে সংঘটিত সশস্ত্র হামলাকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করে আসিফ মাহমুদ বলেন, “আমরা লক্ষ্য করেছি, সারা দেশ থেকে বিভিন্ন সন্ত্রাসী সেখানে জড়ো হয়েছিল। তবে আমি আশাবাদী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে এই হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়। আমরা কখনোই সংঘাত বা সহিংসতা চাই না। দেশের রাজনৈতিক কার্যক্রম যেন শান্তিপূর্ণভাবে চলতে পারে, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।”
এসময় সাংবাদিকরা আওয়ামী লীগের ‘নৌকা’ প্রতীক রাখা নিয়ে প্রশ্ন করলে আসিফ মাহমুদ বলেন, “এটা সত্যিই দুঃখজনক। জুলাই মাসটি আমাদের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। আমরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে বহু প্রাণ বিসর্জন দিতে দেখেছি। আর সেই মাসেই এখন এসে প্রশ্ন উঠছে, নৌকা প্রতীক থাকবে কি থাকবে না।”
তিনি বলেন, “যে রাজনৈতিক দলটি তিন দফায় দেশের কোটি কোটি মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে, সেই দলের প্রতীক রাখা কি যথাযথ? এটা শুধু রাজনৈতিক নয়, নৈতিক প্রশ্নও। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, আমি বিশ্বাস করি তারা বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে।”
আসিফ মাহমুদ মনে করেন, “নৌকা প্রতীক রাখা হলে তা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাবিরোধী হবে। এটি সেই শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি অসম্মান হবে, যারা দেশের গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছেন।”