Top Header
Author BartaLive.com
তারিখ: ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩০ অপরাহ্ণ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা আবারও চালু হচ্ছে : তারিখ ঘোষণা

News Image

দীর্ঘ ১৬ বছর পর আবারও চালু হচ্ছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই অনুষ্ঠিত হবে এ পরীক্ষা—যা প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ডিসেম্বর মাসে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরই পৃথকভাবে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ২০২৫ সালের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১, ২২, ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর। পরীক্ষায় মোট চারটি বিষয়ের ওপর মূল্যায়ন করা হবে—বাংলা, ইংরেজি, প্রাথমিক গণিত এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ও প্রাথমিক বিজ্ঞান (এই দুটি বিষয় একত্রে বিবেচনায় নেওয়া হবে)। প্রতিটি বিষয়ের পূর্ণমান ১০০ এবং পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে দুই ঘণ্টা ৩০ মিনিট।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে, সেগুলো হলো—সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয় এবং সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংলগ্ন প্রাথমিক বিভাগ। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চালুর পর থেকে আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০২২ সালে আবার চালুর পরিকল্পনা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ওই সময় বিকল্প পদ্ধতিতে মেধাবৃত্তি দেওয়া হয় এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য চালু রাখা হয় উপবৃত্তি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আবারও পূর্ণাঙ্গভাবে বৃত্তি পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে—যা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Watermark