পাকিস্তানে টানা মৌসুমি বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় গত ২৪ ঘণ্টায় পাঞ্জাব প্রদেশে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬৩ জন। আহত হয়েছেন আরও ২৯০ জন। পরিস্থিতির অবনতির কারণে বৃহস্পতিবার পাঞ্জাব জুড়ে জারি করা হয়েছে ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ১৪৪ এবং কয়েকটি জেলায় ঘোষণা করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।
পাকিস্তান আবহাওয়া অধিদপ্তর (PMD) জানায়, দেশজুড়ে বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড়ের সতর্কতা আগেই জারি করা হয়েছিল, যা আজ পর্যন্ত চলবে। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (NDMA) জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
পাঞ্জাবের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (PDMA) জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে লাহোরে—১৫ জন। ফয়সালাবাদে ৯ জন, সাহীওয়ালে ৫ জন, পাকপত্তনে ৩ জন এবং ওকারা জেলায় ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের পরিবারকে সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
পাঞ্জাব হোম ডিপার্টমেন্ট এক নির্দেশনায় জানায়, নিম্নাঞ্চল, রাস্তাঘাট ও উন্মুক্ত স্থানে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় তা শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। নদী, বাঁধ, খাল ও হ্রদগুলোতে পানির প্রবাহ বেড়ে গেছে, যা ডুবে যাওয়া বা দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ধারা ১৪৪-এর আওতায় পুরো পাঞ্জাব জুড়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে—
জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে স্নান বা গোসল করা নিষিদ্ধ
বাঁধ, নদী, খাল, পুকুর বা হ্রদে সাঁতার কাটা নিষিদ্ধ
কোনও অনুমতি ছাড়া বোটিং (নৌকা চালনা) সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
এই আদেশ আগামী ৪৫ দিন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে, তবে চাইলে পূর্বে তুলে নেওয়া যেতে পারে।
সরকার সাধারণ জনগণকে সতর্ক থাকার এবং জরুরি নির্দেশনা কঠোরভাবে মান্য করার আহ্বান জানিয়েছে।