মার্কিন ভিসার জন্য আবেদন করতে গিয়ে কেউ যদি ভুয়া নথি জমা দেন কিংবা তথ্য গোপন করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে আজীবনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে। শুধু তাই নয়, এই ধরনের প্রতারণা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়ে মামলার মুখে পড়ার ঝুঁকিও তৈরি করে।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক সতর্কবার্তায় এসব তথ্য জানায়।
পোস্টটিতে বলা হয়, “এই গল্প আমরা আগেও শুনেছি।” এতে আরও উল্লেখ করা হয়, কনস্যুলার অফিসাররা নিয়মিত ভিসা জালিয়াতি ও প্রতারণার নতুন কৌশল সম্পর্কে হালনাগাদ থাকেন, এবং ভুয়া নথিপত্র শনাক্ত করার প্রযুক্তি ও দক্ষতা তাদের রয়েছে। ফলে ভুয়া কাগজপত্র বা তথ্য গোপনের ঘটনা ধরা পড়ার ঝুঁকি খুবই বেশি। আর একবার এমন কিছু প্রমাণিত হলে তার পরিণতি হতে পারে আজীবনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা।
এছাড়া, ১০ জুলাই দূতাবাসের আরেকটি পোস্টে জানানো হয়, ভিসা আবেদনকারীদের DS-160 ফরমে বিগত পাঁচ বছরে ব্যবহৃত সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের হ্যান্ডল বা ইউজারনেম উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। আবেদনকারীদের নিজ হাতে স্বাক্ষর দিয়ে সব তথ্যকে সত্য ও নির্ভুল ঘোষণা করতে হয়।
তথ্য গোপনের ঘটনা ধরা পড়লে শুধু বর্তমান ভিসা বাতিলই নয়, ভবিষ্যতেও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য যোগ্যতা হারাতে পারেন আবেদনকারী।
দূতাবাস বলছে, “সততা বজায় রেখে আবেদন করলেই ভিসা প্রক্রিয়ায় জটিলতা কম হয় এবং অপ্রত্যাশিত সমস্যার সম্ভাবনা এড়ানো যায়।”
যেকোনো মার্কিন ভিসা আবেদনকারীর জন্য সতর্ক বার্তা দিয়ে, দূতাবাস সকলকে অনুরোধ করেছে—ভবিষ্যতের ঝুঁকি এড়াতে সম্পূর্ণ সত্য ও স্বচ্ছ তথ্য প্রদান করুন।