Top Header
Author BartaLive.com
তারিখ: ২১ জুলাই ২০২৫, ১২:৩৬ অপরাহ্ণ

আজকে জয় অথবা ড্র করলেই শিরোপা নিশ্চিত বাংলাদেশের

News Image

শিরোপার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ, আজ সাফ অনূর্ধ্ব–২০ নারী ফাইনাল নেপালের বিপক্ষে

সবশেষ আসরের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ এবারের সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপেও আছে দুর্দান্ত ছন্দে। এখন শুধু অপেক্ষা শেষ বাঁশির। আর মাত্র একটি ম্যাচ—নেপালের বিপক্ষে। আজ সন্ধ্যা ৭টায় বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত হবে শিরোপানির্ধারণী সেই লড়াই। যেখানে স্বাগতিক বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে তাদের চিরচেনা প্রতিপক্ষ নেপালের।

লিগ পদ্ধতিতে আয়োজিত এবারের টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে পাঁচ জয় নিয়ে পূর্ণ ১৫ পয়েন্টে শীর্ষে আছে লাল-সবুজের মেয়েরা। অন্যদিকে, সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেপাল। তারা একমাত্র হেরেছে বাংলাদেশের বিপক্ষেই। দুই দলের এই মুখোমুখি লড়াই তাই এক অর্থে ফাইনালের মর্যাদা পেয়েছে।

সমীকরণ খুবই পরিষ্কার। আজকের ম্যাচে জয় অথবা ড্র করলেই শিরোপা নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। তবে হারলেই ট্রফি চলে যাবে নেপালের ঘরে। ফলে একেবারে তীরে এসে তরী ডুবিয়ে দেওয়ার শঙ্কাও অস্বীকার করার উপায় নেই। যদিও বাংলাদেশ জয় ছাড়া কিছু ভাবছে না।

গোল ব্যবধানের দিক থেকে নেপাল কিছুটা এগিয়ে—তারা করেছে ২৬ গোল, আর বাংলাদেশ ২০। কিন্তু পয়েন্টেই এগিয়ে স্বাগতিকরা, যা তাদের বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে শেষ ম্যাচের আগে।

এর আগের বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচেও উত্তেজনার কমতি ছিল না। সেই ম্যাচে এক পর্যায়ে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ পরে দুটি গোল হজম করে চাপে পড়ে যায়। শেষ মুহূর্তে তৃষ্ণা রানীর গোলে ৩-২ ব্যবধানে জিতে নেয় স্বাগতিকরা। ওই ম্যাচে সংঘটিত হয় হাতাহাতির ঘটনাও। বল দখলের লড়াইয়ে সাগরিকা ও নেপালের ডিফেন্ডার সিমরান রয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে উভয়কে লাল কার্ড দেখান রেফারি। সাফ কর্তৃপক্ষ তাদের উভয়কে তিন ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা ও ৫০০ মার্কিন ডলার জরিমানা করে।

তবে আজ সেই নিষেধাজ্ঞা শেষে মাঠে ফিরছেন দুই তারকা ফুটবলার। বাংলাদেশ শিবিরে তাই স্বস্তি, কারণ দলের অন্যতম ভরসা স্ট্রাইকার সাগরিকা আবার ফিরছেন শুরুর একাদশেই। প্রথম ম্যাচে হ্যাটট্রিকের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও গোল পেয়েছিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তার ফেরাটা আক্রমণভাগে বাড়াবে গতি ও ধার।

প্রতিপক্ষ নেপাল শক্তিশালী হলেও আত্মবিশ্বাসে কোনো ঘাটতি নেই আফঈদাদের মধ্যে। গতকাল ম্যাচের আগের দিন দলের সবাই হালকা স্ট্রেচিং, সুইমিং ও রিকভারি সেশনে অংশ নিয়েছে। দলের ম্যানেজার মাহমুদা আক্তার অনন্যা বলেছেন, “শেষ ম্যাচটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নেপাল, ভারত, বাংলাদেশ—এই তিন দলের ম্যাচ মানেই থাকে আলাদা উত্তেজনা। আশা করি ভালো শুরু যেমন করেছি, তেমনি ভালো শেষ করবো। দেশবাসী দোয়া করবেন যেন শেষ হাসিটা আমরাই হাসতে পারি।”

সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আজকের সন্ধ্যায় বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় দেখা যাবে আরেকটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ফুটবল–ভক্তদের চোখ থাকবে মাঠের দিকে—কে হাসবে শেষ হাসি?

Watermark