প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে দুর্দান্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। আজ মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে লিটন কুমার দাসের দল। এই ম্যাচে জয় পেলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত হবে টাইগারদের।
২০১৫ সালে একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাকিস্তানকে হারানোর সুখস্মৃতি থাকলেও এরপর যতবারই একাধিক ম্যাচের সিরিজ হয়েছে, কখনোই সিরিজ জয়ের স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ। আজ সেই ইতিহাস বদলে দেওয়ার হাতছানি লাল-সবুজ জার্সিধারীদের সামনে।
মিরপুরের উইকেট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক থাকলেও এখানেই বাংলাদেশ গড়েছে সবচেয়ে বেশি সাফল্যের গল্প। ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে হারানো থেকে শুরু করে ২০২৩ সালে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ—সবই মিরপুরের মাটিতে। এই মাঠের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কৌশলটাই বরাবর সফল করে তুলেছে বাংলাদেশকে।
প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান ব্যাটাররা যেখানে অনিয়মিত বাউন্স ও বলের আচরণ নিয়ে অভিযোগ তুলেছে, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাটাররা সেই উইকেটেই ১৫.৩ ওভারে তুলে নিয়েছেন ১১২ রান। এটি প্রমাণ করে দিয়েছে, উইকেট নয়, পার্থক্যটা হয়েছে মানিয়ে নেওয়ার জায়গায়।
সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার মাটিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে এসেছে বাংলাদেশ। সেই আত্মবিশ্বাসেই পাকিস্তান সিরিজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে টাইগাররা। প্রথম ম্যাচে দেখা গিয়েছে আক্রমণাত্মক অথচ নিয়ন্ত্রিত পারফরম্যান্স—যা বলে দিচ্ছে, আজকের ম্যাচেও জয় কেবল সম্ভবই নয়, বরং খুবই কাছের বাস্তবতা।
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ধারাবাহিক সাফল্যের ইতিহাস খুব সমৃদ্ধ নয়। তবে সময়ের সঙ্গে বদলেছে পরিস্থিতি। ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ে থেকে শুরু হওয়া জয়ের ধারা ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, পরে আরব আমিরাত, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষেও সাফল্য এনে দিয়েছে। আজকের ম্যাচ সেই ধারাবাহিকতাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে পারে।
তবে আজকের ম্যাচ কেবল ক্রিকেটীয় সাফল্যের নয়, থাকবে একটি শোকাবহ আবহও। রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের স্মরণে কালো ব্যাজ পরে খেলতে নামবেন খেলোয়াড়রা। তাই সিরিজ জয়ের দায়িত্বের পাশাপাশি, তারা আজ জাতির বেদনায়ও অংশীদার হবেন—মাঠে ও মননে।