Top Header
Author BartaLive.com
তারিখ: ২২ জুলাই ২০২৫, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ

সিংড়ায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে আহত ১০, উভয়পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

News Image

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় বিএনপি ও জামায়াত সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২১ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চক কালিকাপুর গ্রামের ‘ভেজালের মোড়’ এলাকায় এই সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সূত্রপাত ঢাকায় জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে যোগ দেওয়া নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে বিরোধ থেকে।

স্থানীয় পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিংড়ার চামারী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি নাজমুল ইসলাম ঢাকায় অনুষ্ঠিত জামায়াতের কেন্দ্রীয় সমাবেশে যোগ দেন। তাঁর সঙ্গে এলাকার আরও কিছু নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষও অংশ নেন। এ ঘটনায় স্থানীয় বিএনপির কর্মীরা ক্ষুব্ধ হন। তাদের দাবি, জামায়াত সমর্থকরা রাজনৈতিকভাবে আলাদা অবস্থানে থেকেও নিজ এলাকায় এসে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন।

সমাবেশ থেকে ফিরে আসার পর সোমবার রাতে জামায়াত নেতা নাজমুল ইসলাম ও তাঁর সহযোগী জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে বিএনপি কর্মী হাবিল উদ্দিন, কাবিল উদ্দিন ও কাউছার আলীর বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তা রূপ নেয় সংঘর্ষে। দুই পক্ষের সমর্থকেরাও রড, হাতুড়ি ও হাঁসুয়া নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এতে নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।

আহতদের মধ্যে জামায়াতের পক্ষ থেকে রয়েছেন—নাজমুল ইসলাম (৩৫), জাহিদুল ইসলাম (৩৫), ফরিদ উদ্দিন (৪৫), মো. স্বপন (৩০), মো. সাগর (২৫) ও সুমাইয়া খাতুন (১২)। অন্যদিকে বিএনপির আহত কর্মীরা হলেন—হাবিল উদ্দিন (৩৫), কাবিল উদ্দিন (৪৫), কাউছার আলী (২৫) ও মো. কোরবান (২১)। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে নাটোর সদর হাসপাতালে ও বাকিদের সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

নাটোর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মাহবুব হোসেন জানান, আহতদের চিকিৎসা চলছে এবং তারা সবাই বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত।

এদিকে, সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। জামায়াত নেতা নাজমুল ইসলাম বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ঢাকায় সমাবেশে অংশ নিয়েছিলাম। বিএনপির কিছু লোক তা মেনে নিতে পারেনি, তাই পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।”

বিএনপি সমর্থক হাবিল উদ্দিন অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “সমাবেশে যাওয়া নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু এলাকায় ফিরে জামায়াতের লোকজন নিজেরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আমাদের মারধর করেছে।”

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে মৌখিক খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Watermark