Top Header
Author BartaLive.com
তারিখ: ২৩ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৪ অপরাহ্ণ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছেন নুরুল হক নুর

News Image

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছেন। বুধবার (২৩ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে তিনি এসব মন্তব্য করেন। তার ভাষ্য, একটি গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত জনপ্রিয় সরকার যদি কোনো নির্দিষ্ট দলের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করে, তাহলে জনগণের আস্থা দ্রুত হারিয়ে যেতে পারে।

নুর প্রশ্ন তোলেন, চারটি রাজনৈতিক দলকে কী ভিত্তিতে ‘বড় দল’ হিসেবে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে? তিনি বলেন, “গতরাতে বৈঠকে ডাকা চার দলের একটি তো এখনও নিবন্ধিত নয়—মাত্রই গঠিত হয়েছে। এ বিষয়ে আজকের ১৩ দলের বৈঠকে প্রায় সবাই আপত্তি জানিয়েছেন।”

তিনি সরাসরি অভিযোগ করেন, সরকার জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে, যা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ তৈরি করছে। নুর বলেন, “আমরা সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছি, যদি নির্বাচনের আগেই পক্ষপাতিত্বের আভাস পাওয়া যায়, তাহলে সেই সরকারের অধীনে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হবেই।”

চট্টগ্রামের আইনজীবী হত্যাকাণ্ড ও গোপালগঞ্জে সম্ভাব্য সহিংসতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব ঘটনা ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন। তার মতে, সরকার আগাম কোনো আভাস না পেলে তাদের কার্যকারিতা ও সক্ষমতা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে কিছু ‘পতিত স্বৈরাচারী শক্তি’ নাশকতার আশ্রয় নিতে পারে—এই আশঙ্কাও ব্যক্ত করেন তিনি।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের প্রসঙ্গ টেনে নুর বলেন, “এক-দুইটি দলের মতামতের ভিত্তিতে যদি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাহলে তা বৃহত্তর জনআকাঙ্ক্ষা উপেক্ষার শামিল হবে।” তিনি সরকারকে রাজনৈতিক প্রভাব ও পক্ষপাতের বাইরে থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানান।

এ সময় তিনি স্থানীয় সরকারের অকার্যকর কাঠামোর কথাও উল্লেখ করেন। তাঁর মতে, দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকায় এলাকাভিত্তিক অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা বেড়েছে। প্রশাসন এককভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ধাপে ধাপে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার পরামর্শ দেন তিনি।

এছাড়া, ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে সরকারের আচরণ নিয়েও অভিযোগ তোলেন নুর। তিনি বলেন, “গত ১১ মাসে সরকার শুধু এনসিপির ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেছে। অন্য কোনো ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসেনি।” তিনি সব ছাত্রসংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের প্রস্তাব দেন এবং দাবি করেন, সরকার এই প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।

Watermark