Top Header
Author BartaLive.com
তারিখ: ২৪ জুলাই ২০২৫, ০৩:২০ অপরাহ্ণ

স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো বাণিজ্যচুক্তি হবে না-বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন

News Image

বাংলাদেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো বাণিজ্যচুক্তি হবে না—এ কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সক্রিয় ও সমন্বিতভাবে কাজ চলছে। তবে কোনো অবস্থাতেই দেশের স্বার্থকে উপেক্ষা করে কোনো চুক্তিতে যাওয়া হবে না।

বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, আগামীকাল (শুক্রবার) যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি অনলাইন বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেই বৈঠকের ওপর ভিত্তি করেই বাংলাদেশ তার পরবর্তী কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক পদক্ষেপ ঠিক করবে। তিনি আরও বলেন, এই ইস্যুতে সরকার এখন পর্যন্ত কোনো লবিস্ট নিয়োগ করেনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রীকে করণীয় সম্পর্কে একটি চিঠি দিয়েছি। এখন সেই চিঠির জবাব ও আমন্ত্রণের অপেক্ষায় আছি। জবাব পেলেই আমাদের প্রতিনিধি দল সেখানে যাবে।”

প্রসঙ্গত, আগামী ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি শুল্ক কার্যকর করতে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ত্বরান্বিত করার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “সময়ের গুরুত্ব আমরা জানি, তবে এটা কেবল আমাদের না, যুক্তরাষ্ট্রেরও প্রয়োজন। আমরা গত ১৫ দিন ধরে দিনরাত কাজ করছি, আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলোচনা করেছি এবং আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি।”

লবিস্ট নিয়োগ প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “এটা ব্যবসায়ীদের এখতিয়ার হতে পারে, তবে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো লবিস্ট নিয়োগ করা হয়নি। কারণ এই জটিল কাঠামোর আইনি দিকগুলো বোঝা এবং পরিবর্তন আনা একজন লবিস্টের পক্ষে সম্ভব নয়। এখানে প্রতিটি পদক্ষেপে আইনি ও প্রশাসনিক দিক বিবেচনা করতে হচ্ছে।”

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো ‘বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে যুক্তরাষ্ট্রকে সুবিধা দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে’—এমন অভিযোগের জবাবে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “আমি একজন বাংলাদেশি, দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে কেন আমি কাজ করব? এই প্রশ্ন অবান্তর। আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি, আন্তঃমন্ত্রণালয়িক সমন্বয় করছি, আর এটা যদি দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে হতো, তাহলে এত পরিশ্রমের দরকার হতো না।”

Watermark