Top Header
Author BartaLive.com
তারিখ: ২৫ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৬ অপরাহ্ণ

বাড়ছে ডলার মজুত ও বৈদেশিক আয়ের গতি

News Image

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ধীরে ধীরে স্বস্তি ফিরছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দিন শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০ বিলিয়ন বা ৩ হাজার কোটি ডলারে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) গৃহীত হিসাবপদ্ধতি—ব্যালান্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল ৬ম সংস্করণ বা BPM6 অনুযায়ী, এই রিজার্ভের পরিমাণ ২৪ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার।

রিজার্ভের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গত ৩০ জুন দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। সেই তুলনায় মাত্র ২৪ দিনের ব্যবধানে এটি কমেছে প্রায় ১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে BPM6 অনুযায়ী রিজার্ভ কমেছে ১ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, গত ৮ জুলাই এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে (আকু) মে ও জুন মাসের আমদানি বকেয়া বাবদ ২০১ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়। এর ফলে রিজার্ভ নেমে আসে ২৯ দশমিক ৫২ বিলিয়নে, আর BPM6 অনুযায়ী দাঁড়ায় ২৪ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে।

সরকার পরিবর্তনের পর প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। সদ্যসমাপ্ত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে প্রবাসীরা বৈধ পথে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে একই সময়ে পণ্য রপ্তানিতেও সাড়ে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের আরেকটি বড় উৎস।

এই দুই উৎসের ইতিবাচক ধারা বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়েছে। রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক—টানা ১০ মাস ধরে। পাশাপাশি দেশব্যাপী ব্যাংক খাত, রাজস্ব কাঠামো সংস্কার, বাজেট সহায়তা এবং বৈদেশিক ঋণ আসায় রিজার্ভ পুনরুদ্ধার হচ্ছে ধীরে ধীরে।

প্রবৃদ্ধিশীল রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ের বিপরীতে আমদানির চাপ কম থাকায় সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ডলারের চাহিদাও কমেছে। এর প্রভাবে টাকার বিপরীতে ডলারের দামও কিছুটা হ্রাস পায়। তবে চলতি জুলাই মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম স্থিতিশীল রাখতে নিলামের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার কিনতে শুরু করে, যা রিজার্ভ বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে।

সব মিলিয়ে বৈদেশিক খাতে নিয়ন্ত্রিত প্রবাহ ও অর্থনৈতিক ভারসাম্য রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।

Watermark