Top Header
Author BartaLive.com
তারিখ: ২৫ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫১ অপরাহ্ণ

দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা: জাতিসঙ্ঘের অধীনে তদন্ত দাবি জামায়াত আমীরের

News Image

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। ২৫ জুলাই গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি সীমান্তে মিল্লাত হোসেন (২০) ও লিটন (৩২) নামের দুই যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং জাতিসঙ্ঘের অধীনে একটি স্বাধীন ও আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি করেন।

বিবৃতিতে তিনি জানান, গত ২৪ জুলাই মধ্যরাতে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ফেনীর পরশুরাম সীমান্তে গুলি চালায়। এতে মিল্লাত হোসেন ও লিটন নিহত হন এবং আফসার (৩০) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন। তিনি বলেন, “এই ঘটনায় আমরা অত্যন্ত ব্যথিত এবং উদ্বিগ্ন। বিএসএফ বারবার এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, “ভারত বহুবার সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তা কখনোই বাস্তবায়ন হয়নি। বরং হত্যা বেড়েই চলেছে। মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের তথ্যমতে, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিএসএফ ৫৮৮ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে এবং ৭৭৩ জনকে আহত করেছে। এত মানুষের প্রাণহানির পরও আজ পর্যন্ত কোনো বিচার হয়নি, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক।”

তিনি বর্তমান সরকারের পররাষ্ট্রনীতিরও সমালোচনা করেন। তার দাবি, “পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নতজানু ও ভারত-তোষণ নীতির কারণেই সীমান্তে এইসব হত্যাকাণ্ড ঘটছে। সরকার ভারতের কাছে মাথানত করেই শুধু বিবৃতি দিয়ে দায়িত্ব শেষ করছে।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ সব সময় প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে অন্যায়ভাবে গুলি করে আমাদের নাগরিকদের হত্যা মেনে নেওয়া হবে। আমরা আশা করি ভারত সরকার এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।”

সর্বশেষে, ডা. শফিকুর রহমান সীমান্তে সংঘটিত সব বাংলাদেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর কূটনৈতিক অবস্থান নেওয়ার দাবি জানান।

Watermark