তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বড় ভাই মাহবুব আলম মাহিকে ঘিরে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে টেন্ডার সংক্রান্ত আর্থিক অস্বচ্ছতার অভিযোগ। বিষয়টি ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে অনলাইন পরিমণ্ডল। অভিযোগকারী ভ্রমণবিষয়ক ইউটিউবার বনি আমিনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মাহবুব আলম মাহি।
সোমবার (২৮ জুলাই) দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া একটি পোস্টে মাহি স্পষ্ট ভাষায় জানান, যিনি তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছেন, তাকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মাহবুব আলম ‘মিথ্যা অভিযোগের জবাব’ শিরোনামে দেওয়া পোস্টে দাবি করেন, একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তার ভাষায়, ‘এটি একটি পরিকল্পিত অপপ্রচার, যেখানে আমার ও আমার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা চলছে।’
নিজেকে একজন শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়ে মাহবুব জানান, তিনি অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন এবং তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ২০২৩ সাল থেকে সেখানে সক্রিয় রয়েছে। তার দাবি, ছয় মাসের লেনদেন বিবরণী প্রকাশ করেই তিনি প্রমাণ করেছেন যে, তার কোনো আয় অস্বচ্ছ নয়। তিনি আরও লেখেন, ‘আমার ভাই মাহফুজ আলম কখনো কোনো তদবির করেননি, এমনকি আমাকে করারও সুযোগ দেননি।’
মাহবুব আরও বলেন, ‘আমাদের পরিবার গত তিন দশক ধরে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। রাজনৈতিক কারণে আমাদের বাবা গত ১৬ বছর ধরে ব্যবসায় সেভাবে মনোযোগ দিতে পারেননি। বর্তমানে সেই ব্যবসা পরিচালনা করছি আমরা, এবং এটি পুরোপুরি বৈধ ও সরকারি নিয়মে নিবন্ধিত।’
তিনি আরও দাবি করেন, দেশে ফেরার পর অনেকেই তথ্য উপদেষ্টার পরিচয় ব্যবহার করে ব্যক্তিগত সুবিধা নিতে চাইলেও মাহফুজ আলম সব ধরনের অনুরোধ কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং পরিবারের সবাইকে তদবির থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
পোস্টের শেষাংশে মাহবুব আলম হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানরত আইনজীবীদের সঙ্গে ইতোমধ্যে কথা হয়েছে। যদি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা না চাওয়া হয়, তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মাহবুব আলম মাহির পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে বনি আমিনও নিজের ফেসবুক পেজে একটি কটাক্ষভরা পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন,
“ব্যাংক একাউন্ট ছেপে মাহফুজের ভাই আমাদের অ্যাডমিনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে বললো। বনি আমিন যে কী এই ‘মাল’ সেটাই জানে না, আফসোস!”