পর্তুগাল আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যম ডায়ারিও ডি নোটিসিয়াসসহ অন্যান্য স্থানীয় পত্রিকা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনিগ্রোর কার্যালয় জানায়, নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণের সময়, যদি সম্মেলনে উপস্থাপিত বৈধ শর্তাবলি পূরণ হয়, তাহলে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হতে পারে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মন্টিনিগ্রো প্রথমে রাষ্ট্রপতি মার্সেলো রেবেলো ডি সুসা এবং দেশটির জাতীয় সংসদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পরামর্শ করবেন বলেও জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আরও জানায়, স্বীকৃতি প্রদানের প্রক্রিয়াটি ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে এবং এতে অংশ নেওয়া রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে পূর্ববর্তী চুক্তি ও সংলাপের বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হয়েছে। তারা বলেছে, “আমরা এমন দেশের সঙ্গে কাজ করছি, যাদের সঙ্গে আমাদের স্থায়ী সংলাপ রয়েছে এবং যারা জাতিসংঘ সম্মেলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে।”
এদিকে, ইসরায়েল ২০২৩ সাল থেকে গাজায় নিরবচ্ছিন্ন বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে নারকীয় গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত এই আগ্রাসনে ৬০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। অব্যাহত হামলার ফলে পুরো অঞ্চল ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে এবং খাদ্য সংকট ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে, যা মানবিক দুর্ভিক্ষে রূপ নিয়েছে।
এরই মধ্যে, গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। একইসঙ্গে, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি রয়েছে।