Top Header
Author BartaLive.com
তারিখ: ৩১ জুলাই ২০২৫, ১০:০২ অপরাহ্ণ

‘সাইয়ারা’-এর আবেগঘন দর্শক প্রতিক্রিয়া সাজানো নয়, বললেন প্রযোজক—“এগুলো প্রকৃত ভক্তদের অনুভূতি”

News Image

মোহিত সুরির পরিচালনায় সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র সাইয়ারা বক্স অফিসে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। সিনেমাটি ঘিরে দর্শকদের আবেগঘন প্রতিক্রিয়াগুলোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে উঠেছে। কোনো দর্শককে দেখা গেছে স্যালাইনসহ হলরুমে ঢুকতে, কেউ অঝোরে কাঁদছেন, আবার কেউ সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলছেন এমন দৃশ্যও ধরা পড়েছে ক্যামেরায়।

যদিও অনেকেই এসব প্রতিক্রিয়াকে একেবারে স্বতঃস্ফূর্ত ও হৃদয়গ্রাহী বলে মনে করছেন, অন্যদিকে ইন্টারনেটের একটি অংশের অভিযোগ, এসব দৃশ্য আসলে সিনেমার প্রচারের অংশ, অর্থাৎ প্রযোজক ও নির্মাতারা ইচ্ছাকৃতভাবে এসব দর্শক ‘বসিয়ে দিয়েছেন’ যাতে সিনেমার আবেগঘন প্রভাব দেখিয়ে তা আরও জনপ্রিয় হয়।

এই বিতর্কের প্রেক্ষাপটে সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান যশ রাজ ফিল্মস-এর সিইও অক্ষয় বিদানি India Today-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “সিনেমা হলে কোনো ভক্তই আমরা সাজিয়ে দিইনি। যে ছেলেটি স্যালাইন নিয়ে এসেছে, যিনি পর্দার সামনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করছেন, কিংবা যে দর্শক টি-শার্ট খুলে নাচছেন এরা প্রত্যেকেই সত্যিকারের দর্শক, যারা তাঁদের আবেগ দিয়ে সিনেমাটিকে গ্রহণ করেছেন।”

তিনি আরও যোগ করেন, “এখন এমন সময় এসেছে, যখন লোকজন ফোন করে বলছেন, তারা কতটা কেঁদেছেন। তখন আমরাও বলি, ‘ধন্যবাদ, আপনি কেঁদেছেন।’ কারণ আমরা জানি, এই কান্না প্রমাণ করে সিনেমাটি তাঁদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। আজকের দিনে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে কোনো সিনেমা দেখে এত গভীরভাবে অনুভব করা আমি নিজেও মনে করতে পারি না, শেষ কবে এমনটা ঘটেছে।”

পরিচালক মোহিত সুরি সম্প্রতি SCREEN ম্যাগাজিনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, সাইয়ারা নির্মাণের পেছনের গল্প। তিনি বলেন, “আমি তখন একটি অ্যাকশন সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার মাঝপথে ছিলাম, যখন দেখলাম চারপাশে শুধু বড় বাজেটের, হেলিকপ্টার-বোমা উড়ানো ধাঁচের সিনেমা তৈরি হচ্ছে। তখন ভাবলাম, এর বদলে একটি সাদামাটা, হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের সংগীতনির্ভর সিনেমা বানাবো, তাও নবাগত শিল্পীদের নিয়ে।”

তিনি আরও জানান, “আমার সহকারী সংকল্প সদানাহ চিত্রনাট্য লিখেছিলেন এবং রোহন শঙ্কর সংলাপ লিখেছিলেন। একদিন যশরাজ ফিল্মস-এর সুমন্না ঘোষের সঙ্গে দেখা হলে তিনি জানতে চান, আমার কাছে কোনো প্রেমের গল্প আছে কি না। এক সপ্তাহের মধ্যেই তারা ফোন করে জানায় আদি স্যার (আদিত্য চোপড়া) এমন একটি সিনেমার খোঁজে ছিলেন।”

Watermark