যশোরের মণিরামপুর পৌরসভার গরুহাট মোড় এলাকার আবাসিক হোটেল ‘রজনী নিবাস’ এ অভিযান চালিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে যুবদলের চার কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাত ১১টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার অভিযানে তাদের আটক করা হয়। পরে শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন গাংড়া এলাকার আলম খান, দুর্গাপুরের টুটুল, কদমবাড়িয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও খেদাপাড়া গ্রামের আবু সিনহা। অভিযানে তাদের কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তল ও একটি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়।
জেলা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, হাটখোলা মোড়ে হোটেল ‘রজনী নিবাস’ এর ৪০৮ নম্বর কক্ষে একদল ব্যক্তি ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পরে মনিরামপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে। তবে হোটেল পরিচালনাকারী ও আওয়ামী লীগ নেতা গাউসুল মোস্তাকের ছেলে ফয়সাল হুমায়ুন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। তিনি মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত বলে পুলিশের ধারণা।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেন, “সন্ত্রাসীরা হোটেলে বসে ডাকাতির পরিকল্পনা করছে এমন খবর পেয়ে আমরা অভিযান চালাই। ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে এবং ফয়সাল হুমায়ুন পলাতক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন বলেন, “আটককৃতরা যুবদলের কর্মী হলেও দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ বা অপরাধে জড়িত ব্যক্তির দায় দল নেবে না। দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং প্রশাসনকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।”