Top Header
Author BartaLive.com
তারিখ: ২ আগস্ট ২০২৫, ১০:১২ অপরাহ্ণ

সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেপ্তার ফরদাবাদ ইউনিয়নের আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা ‘পচা দেলু’

News Image

এটিএম আলী আহম্মেদ ।। বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি |

চলমান সাঁড়াশি অভিযানে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন, যিনি স্থানীয়ভাবে ‘পচা দেলু’ নামে পরিচিত। শনিবার (২ আগস্ট) ভোরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।

দীর্ঘদিন ধরে এলাকা জুড়ে প্রভাব বিস্তারকারী এই নেতা একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে ছয়টি হত্যা মামলা সহ অন্তত আটটি গুরুতর মামলা রয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, তিনি চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসায় পৃষ্ঠপোষকতা, সালিশ বাণিজ্য এবং ভুয়া মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করতেন। এসবের মাধ্যমে ফরদাবাদ ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে ভয়ভীতি ও ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছিলেন।

বিত্ত বৈভব, কিন্তু অজানা উৎস

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মো. দেলোয়ার হোসেন গত কয়েক বছরে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। একসময় গ্রামে টিনের চালা ঘরে বসবাস করলেও বর্তমানে তিনি বসবাস করছেন একটি দোতলা ডুপ্লেক্স ভবনে। রয়েছে একাধিক জমির মালিকানা ও ব্যক্তিগত গাড়িও। তবে এসব সম্পদের কোনও বৈধ আয়ের উৎস এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সাধারণ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দেলু ও তার সহযোগীরা বাঞ্ছারামপুর ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় নিরীহ মানুষকে ভুয়া মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করেছেন, কখনও নিজের প্রভাব খাটিয়ে, আবার কখনও সালিশের নামে অর্থ আদায় করে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছেন। রাজনৈতিক পরিচয়ই ছিল তার মূল ঢাল।

দেশজুড়ে অভিযান, একের পর এক গ্রেপ্তার

সরকার পরিবর্তনের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশজুড়ে শুরু করেছে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান। ইতোমধ্যে একাধিক জেলা ও উপজেলায় পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ নেতারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, যাদের অধিকাংশের বিরুদ্ধেই রয়েছে অপরাধ, দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি ও মাদক সংশ্লিষ্ট গুরুতর অভিযোগ।

ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, দেলুর বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিশ্বস্ত সূত্রের দাবি, তার সঙ্গে কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যক্তির যোগসাজশ রয়েছে যা তদন্তে বের হয়ে আসতে পারে।

Watermark