ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) রাজধানীজুড়ে অভিযান চালিয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ২১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার (২ আগস্ট ২০২৫) ও রোববার (৩ আগস্ট ২০২৫) দিন ও রাতব্যাপী পরিচালিত এ বিশেষ অভিযানে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), থানা পুলিশ এবং সিটিটিসি’র বিভিন্ন ইউনিট অংশ নেয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন—ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন, ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থানা যুবলীগ সদস্য গিয়াস উদ্দিন, নবীনগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বোরহান উদ্দিন আহম্মেদ, শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের নেতা মো. ইব্রাহিম, বনানী থানা ছাত্রলীগ নেতা বাদশা খান, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারেক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য সাব্বির মজুমদার, ঝালকাঠি আওয়ামী লীগের নেতা জাকির হোসেন ফরাজী, চরফ্যাশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোর্শেদ, শ্রমিক লীগের নেতা আনিসুর রহমান হিটলু এবং তথ্য-প্রযুক্তি লীগের সাধারণ সম্পাদক সান মোহাম্মদসহ আরও অনেকে।
ডিবি সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃতদের অনেকে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, গোপন বৈঠক, অস্ত্র ও মাদকের সংশ্লিষ্টতা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারবিরোধী অপপ্রচার চালানোর সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। কয়েকজনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে, এবং কেউ কেউ সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন। যেমন, খিলক্ষেত থেকে গ্রেফতার হওয়া ছাত্রলীগ নেতা হামীম আহমেদ বিভিন্ন এলাকায় নিষিদ্ধ সংগঠনের ব্যানারে ঝটিকা মিছিল করে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে আসছিলেন।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, গ্রেফতার হওয়া অনেকে ইতোমধ্যে বিস্ফোরকদ্রব্য, হামলা ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে তালিকাভুক্ত ছিলেন। যেমন, তথ্য-প্রযুক্তি লীগের সাধারণ সম্পাদক সান মোহাম্মদ ১ জুলাই দায়েরকৃত একটি বিস্ফোরক আইনের মামলার তদন্তে প্রাপ্ত সন্দেহভাজন, যিনি নিউ মার্কেট ও আশপাশের এলাকায় অস্থিরতা তৈরির পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ।
ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। রাজধানীতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন ডিবি কর্মকর্তারা।