Top Header
Author BartaLive.com
তারিখ: ৩ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৩৯ অপরাহ্ণ

‘‘ছাত্রদলের সেক্রেটারি আমি” সুনামগঞ্জের মন্টুর ভিডিও ঘিরে বিতর্ক

News Image

গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর শাহবাগে অনুষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সমাবেশে অংশ নিতে সারাদেশের মতো সুনামগঞ্জ থেকেও যোগ দিয়েছেন অনেক নেতাকর্মী। এদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তির বক্তব্যসহ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা ঘিরে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়।

ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি নিজেকে পরিচয় দিচ্ছেন ছাত্রদলের সেক্রেটারি হিসেবে। ক্যামেরার প্রশ্নে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমি ছাত্রদল করি।” দায়িত্ব সম্পর্কে জানতে চাইলে জানান, “আমি ছাত্রদলের সেক্রেটারি, সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার।” ভিডিওটি ভাইরাল হতেই নেটিজেনরা প্রশ্ন তোলেন“বয়স ৪৫ বছর হয়ে গেলেও তিনি এখনো কীভাবে ছাত্রদল করেন?”

স্থানীয় অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম মন্টু, তিনি সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের গোলকপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। স্থানীয়দের অনেকেই বলেন, তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কিনা তা নিশ্চিত নয়, তবে কেউ কেউ তাকে যুবদলের কর্মী বলে মনে করেন।

এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

ধর্মপাশা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ওবায়দুর মজুমদার বলেন, “আমি শাহবাগের সমাবেশে আছি। ওই ভিডিও আমি দেখেছি। শুনেছি তার বাড়ি আমাদের উপজেলার গোলকপুর গ্রামে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি তাকে চিনি না, ছাত্রদলের কোনো কার্যক্রমেও কখনো দেখিনি। এ বয়সে ছাত্রদল করার প্রশ্নই আসে না। হয়তো কেউ তাকে শিখিয়ে দিয়েছে এমন বলার জন্য। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”

ছাত্রদলের ধর্মপাশা উপজেলা শাখার সদস্য সচিব সারোয়ার হোসেন বলেন, “যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সে ব্যক্তি ছাত্রদলের কেউ নন। আমরা তাকে চিনি না। সে ভুয়া সেক্রেটারি। ছাত্রদলকে বিব্রত করতেই হয়তো এমন বলেছেন। সমাবেশ শেষে এলাকায় ফিরে তার খোঁজ নেওয়া হবে এবং কেন এমন বক্তব্য দিলেন, তা জানার চেষ্টা করব।”

এ বিষয়ে যুবদলের প্রতিক্রিয়াও এসেছে। ধর্মপাশা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শওকত আলী বেপারী বলেন, “ভিডিওটি আমি দেখেছি। সে নিজেকে ছাত্রদলের সেক্রেটারি দাবি করেছে, কিন্তু তার বয়স প্রায় ৪৫ বছর। ধর্মপাশা উপজেলায় এ বয়সী কোনো ছাত্রদল কর্মী নেই। আমি যুবদলের আহ্বায়ক হিসেবে নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, সে যুবদলেরও কেউ না। তাকে আমি চিনিও না।”

নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি এখন ছাত্রদলের পরিচয় যাচাই ও সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষায় বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

Watermark