Top Header
Author BartaLive.com
তারিখ: ৪ আগস্ট ২০২৫, ১০:১৪ অপরাহ্ণ

বিএনপি ক্ষমতায় এলে পাঁচ বছরে ৩০ কোটি গাছ লাগাবে

News Image

বাংলাদেশের জনগণ আর শুধু স্বপ্ন কিংবা প্রতিশ্রুতি শুনতে চায় না, তারা চায় সেগুলোর বাস্তবায়ন। এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, দেশের জনগণ পরিবর্তন চায়, আর সেই পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত বিএনপি। জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও চাওয়া-প্রত্যাশাকে ধারণ করে বিএনপি আগামী দিনের রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রণয়ন করছে।

সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে “ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও আমার না বলা কথা” শীর্ষক এ আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল।

তারেক রহমান বলেন, শহীদদের সম্মান জানাতে হলে, যে প্রত্যাশা নিয়ে তাঁরা রাজপথে নেমেছিলেন, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, বিশেষ করে রাজনৈতিক কর্মীরা স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের ত্যাগ বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। দেশের ভবিষ্যৎকে আলোকিত করতে হলে, তাদের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে হবে।

তিনি আরও জানান, বিএনপি ক্ষমতায় এলে পরিবেশ রক্ষার অংশ হিসেবে পাঁচ বছরে ২৫ থেকে ৩০ কোটি গাছের চারা রোপণ করবে। পাশাপাশি, দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সময়ের খাল খনন কর্মসূচি আবার চালু করা হবে।

তারেক রহমান বলেন, জনগণই বিএনপির সব ক্ষমতার উৎস। তাই নেতা হতে হলে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। জনগণ প্রত্যাখ্যান করলে, আপনি আর নেতা নন। তিনি নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা দলের পরিকল্পনা ও বার্তা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছে দেন।

অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম।

এছাড়া আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট সাইয়্যেদ আবদুল্লাহ, যুবদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব রবিউল ইসলাম নয়ন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে অংশগ্রহণ করেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত যুবদল নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের চারজন পরিবারের সদস্য, ২০১৫ সালে গুম হওয়া একজন আইনজীবীর পরিবার এবং যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন চিকিৎসক।

আয়োজনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল শহীদদের স্মরণে সম্মাননা প্রদান। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় নিহত ৭৮ জন নেতা, কর্মী ও সমর্থকের পরিবারের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও আর্থিক অনুদান তুলে দেওয়া হয়। এই সম্মাননা তুলে দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়, যাতে অভ্যুত্থানে নিহতদের জীবন ও ত্যাগের চিত্র তুলে ধরা হয়। পরিবেশিত হয় একটি থিম সং এবং ঢাকার ছয়টি স্থানে অঙ্কিত রাজনৈতিক গ্রাফিতির ভিজ্যুয়াল প্রদর্শনী। পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের জন্য আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিএনপির আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী ও আবদুস সালাম, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা এবং যুবদলের বিভিন্ন ইউনিটের শত শত নেতা-কর্মী।

Watermark