গত এক বছরে নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়ার প্রয়াসে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনুস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বুধবার ৬ আগস্ট দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত বিএনপি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানায়। এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত দেশের চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসানে সহায়ক হবে এবং গণতন্ত্র উত্তরণের পথে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রত্যাশা করে এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে সরকার এবং নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমরা বিশ্বাস করি, একটি কার্যকর জাতীয় সংসদ গঠনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সকল রাজনৈতিক দল ও জনগণ সম্মিলিতভাবে কাজ করবে।
ফখরুল আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার-সংক্রান্ত যেসব কাজ এখনও অসম্পূর্ণ, তা দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানায়, আহতদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে এবং তাদের দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করে। একইসঙ্গে শহীদদের পরিবারের পুনর্বাসন ও আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।
আট বছরব্যাপী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে সফলতা অর্জনের জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে তারেক রহমানকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয় বলেও জানান ফখরুল।
বক্তব্যের শেষভাগে তিনি বলেন, আসুন আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার আদর্শ, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার আজীবন গণতান্ত্রিক সংগ্রাম এবং তারেক রহমানের আধুনিক ও মানবিক রাষ্ট্র নির্মাণের প্রত্যয়ে ঐক্যবদ্ধ হই। একটি সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করি।