Top Header
Author BartaLive.com
তারিখ: ৬ আগস্ট ২০২৫, ০৯:১৬ অপরাহ্ণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিদ্যালয়ে ল্যাবে প্রজেক্ট বানাতে গিয়ে আতঙ্ক, আহত ২৫ শিক্ষার্থী

News Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় তলার সায়েন্স ল্যাবে বিকট শব্দ হওয়ার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, যার জেরে সিঁড়ি দিয়ে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে আহত হয়েছে অন্তত ২৫ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ১১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের একজনকে রাখা হয়েছে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)।

ঘটনাটি ঘটে বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে। শিক্ষার্থীরা তখন আসন্ন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার জন্য একটি প্রজেক্ট তৈরি করছিল। মাল্টিপ্লাগের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার সময় হঠাৎ করে বিকট শব্দ হলে শিক্ষার্থীরা আগুন লেগেছে মনে করে আতঙ্কে সিঁড়ি দিয়ে দৌড়াতে থাকে। এতে অনেকেই পড়ে গিয়ে আহত হয়।

আহতদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি শিক্ষার্থীরা হলেন:
আমেনা জাহান আরিশা (৮ম), সোহামণি ইতি (৬ষ্ঠ), তাসনোভা ইসরাত (৭ম), মাকিয়া আক্তার লামিয়া (৮ম), ফারিয়া সুলতানা (৮ম), তানজিনা আক্তার (৭ম), নোহা ইসলাম (৮ম), কলি (৮ম), আরিফা (৮ম), রুহান (৭ম) ও ফাতেমা আক্তার মীম (৭ম)।
রুহানকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে শ্বাসকষ্টের কারণে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সাইমুল হুদা জানান, শিক্ষার্থীরা মূলত আতঙ্কিত হয়ে আহত ও অসুস্থ হয়ে পড়ে। এদের মধ্যে একজনের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়ায় আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তবে সকলেই আশঙ্কামুক্ত এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের গুজবে বিদ্যালয়ে ব্যাপক জনসমাগম হয়। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তাহমিনা আক্তার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূঁইয়া এবং বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লাসহ সংশ্লিষ্টরা আহতদের খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে ছুটে আসেন।

বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক কেশব দেবনাথ জানান, কিছু হয়নি বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলেও তারা ভয় পেয়ে সাড়া না দিয়ে দৌড়াতে থাকে।
ইংরেজির শিক্ষিকা মাহমুদা আক্তার বলেন, “মাল্টিপ্লাগে শর্ট সার্কিটের শব্দ হতেই ছাত্রীরা চিৎকার করে ‘আগুন আগুন’ বলে রুম থেকে বের হয়ে যায়।”

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন জানান, ঘটনাটি শর্ট সার্কিটজনিত শব্দ থেকে সৃষ্টি হওয়া আতঙ্কের কারণে ঘটেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূঁইয়া নিশ্চিত করেন, ১১ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও সবাই আশঙ্কামুক্ত।

Watermark