আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে নিহত গৃহবধূর শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে, গতকাল বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে একই গ্রামের একটি বাড়ি থেকে সুইটি আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সুইটি ময়মনসিংহের পাগলা থানার চাকুয়া গ্রামের আফসারুল ইসলামের মেয়ে। তাঁর স্বামী নুরুল ইসলাম শ্রীপুরের মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। দেড় বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের একটি চার মাস বয়সী কন্যাশিশু রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য কেনাবেচার অভিযোগ রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী সুইটির সঙ্গে এ নিয়ে তার প্রায়ই ঝগড়া হতো। কয়েক দিন আগে সুইটি তাঁর স্বামীর মাদক সংশ্লিষ্টতার কথা আশপাশের লোকজনকে জানালে নুরুল আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। ফলে তাঁদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা বেড়ে যায়।
বুধবার রাত ১১টার দিকে প্রতিবেশীরা নুরুলের বাড়ি থেকে শিশুর কান্নার শব্দ শুনে এগিয়ে যান। ঘরে ঢুকে বিছানায় সুইটির নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তারা, যার শরীরজুড়ে ছিল নির্যাতনের স্পষ্ট চিহ্ন। পাশেই শুয়ে কাঁদছিল চার মাসের শিশু।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুইটির মরদেহ উদ্ধার করে। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল বারিক জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাঁর গায়ে স্পষ্ট আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম পলাতক। তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদেরও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বরমী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রতন মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবার করে নুরুল বিপুল সম্পদ গড়েছেন। স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠতেই এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং সকালে তাঁর তিনটি বাড়িতে আগুন দেন। বাড়িগুলো একই এলাকায় কাছাকাছি অবস্থিত।