স্ত্রী রিয়া মনির সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনে হতাশায় ভুগছিলেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। দাম্পত্য জীবনের সংকটে এক সময় আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন তিনি। সেই সময় পাশে এসে দাঁড়ান তার তৃতীয় স্ত্রী রিয়া মনি। তাকে সেবা-যত্ন করে মানসিকভাবে সুস্থ করে তোলেন। তবে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে উঠার পথে হঠাৎই আবার ঘটল ছন্দপতন। হিরো আলমকে তালাক দিয়েছেন তার স্ত্রী রিয়া।
বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে গণমাধ্যমকে তালাকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিয়া মনি। তিনি বলেন, “হিরো আলমের সঙ্গে সংসার করার মতো পরিস্থিতি আর নেই। সে আগের চেয়ে অনেক বেশি সমস্যা তৈরি করছে। তাই আমি আজই আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছি।”
ডিভোর্স প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, “আমি এখনো ডিভোর্সের বিষয় জানি না। তবে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে অনেক কিছু জানাব।” তিনি আরও জানান, “রিয়া আগের সব ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছিল। আমি ক্ষমা করেও দিয়েছিলাম। কয়েক দিন আগে সে বললো, ‘চলো বগুড়ায় চলে যাই।’ আমি বাড়ি খুঁজতে বগুড়ায় চলে আসি। আর সে কক্সবাজার চলে যায় অভির সঙ্গে। আমি পরে সেখানেও যাই, কিন্তু তাদের পাইনি। তারা পালিয়ে আসে। এভাবে সংসার চলে না।”
এর আগে হিরো আলম অভিযোগ করেছিলেন, বাবার মৃত্যুর সময় পাশে ছিলেন না রিয়া। তাঁর অভিযোগ, বাবাকে নিয়ে তিনি প্রায় এক মাস হাসপাতালে অবস্থান করলেও স্ত্রী রিয়া মনি তাকে দেখতে যাননি। এমনকি বাবার মৃত্যুর পর লাশ দেখতে আসার প্রয়োজনও বোধ করেননি রিয়া।
তালাকের আগে বুধবার মধ্যরাতে নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন হিরো আলম। সেখানে তিনি দাবি করেন, তার স্ত্রী রিয়া মনি কক্সবাজারে এক হোটেলে কথিত প্রেমিক ‘ম্যাক্স অভি’র সঙ্গে অবস্থান করছেন। পোস্টে তিনি দুজনের ছবি শেয়ার করেন এবং লেখেন, “রিয়া মনি ও ম্যাক্স অভির ছবি। আবারও কট খাইলেন। তারা বর্তমানে কক্সবাজার হোটেলে আছেন।”
পরবর্তীতে আরও একাধিক পোস্টে হিরো আলম দাবি করেন, রিয়া তাকে ডিভোর্স না দিয়েই মাঝে মাঝেই হোটেলে রাত কাটাতেন। এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “অবৈধ পরকীয়া করে আবারও তার প্রমাণ হলো। কক্সবাজার আজকে ধরা পড়েছে হোটেলে অভির সঙ্গে।” এর সঙ্গে একটি হোটেল রুমের ভিডিওও শেয়ার করেন তিনি।
রিয়া মনি অবশ্য স্বীকার করেছেন, তিনি কক্সবাজারে গিয়েছিলেন ম্যাক্স অভির সঙ্গে। তার ভাষায়, “একটা কাজেই কক্সবাজারে গিয়েছিলাম। তবে এখন ঢাকায় আছি। আলমের সঙ্গে সংসার করার আর পরিস্থিতি নেই। তাই তালাক দিয়েছি।”