গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে হত্যার সময় তুহিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটির এখনো কোনো হদিস মেলেনি।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাঁচ-ছয়জন দুর্বৃত্ত তুহিনকে ধাওয়া করে। তিনি দৌড়ে ঈদগাহ মার্কেটের একটি চায়ের দোকানে আশ্রয় নেন। দুর্বৃত্তরা সেখানে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। নিহত তুহিন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ-এর গাজীপুর প্রতিনিধি ছিলেন। ঘটনার আগে তিনি তার মোবাইল ফোনে সন্ত্রাসীদের হামলার দৃশ্য ভিডিও করছিলেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রবিউল ইসলাম জানান, মোবাইলটি হত্যাকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ আলামত। এটি উদ্ধার করা গেলে ভিডিওর মাধ্যমে জড়িতদের সহজে শনাক্ত করা যাবে। বর্তমানে মোবাইলটি বন্ধ রয়েছে, তবে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
ঘটনার পর স্থানীয় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত করে পুলিশ। শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর থেকে ফয়সাল ওরফে কেটু মিজান ও তার স্ত্রী গোলাপী বেগমকে, হোতাপাড়া এলাকা থেকে স্বাধীনকে এবং রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সুমন, পাবনার পাচবাড়িয়ার মো. ফয়সাল হাসান (২৩) এবং কুমিল্লার হোমনার মো. শাহ জালালকে (৩২) ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- কেটু মিজান, তার স্ত্রী গোলাপী, স্বাধীন, আলামিন, শাহজালাল, ফয়সাল হাসান ও সুমন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার রবিউল হাসান বলেন, “গ্রেপ্তার হওয়া সাতজনের সবাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।”
র্যাব-১-এর কোম্পানি কমান্ডার এসপি কে এম এ. মামুন খান চিশতী শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় গাজীপুরের পোড়াবাড়ী ক্যাম্পে অবস্থিত সিপিএসসিতে (CPSC) এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্রিফ করবেন।