এনসিপি নেতা সারোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে আবারও গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন দলটির সাবেক নেত্রী নীলা ইসরাফিল। তার দাবি, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় এবং পুরোপুরি অজ্ঞান অবস্থায় সুযোগ নিয়ে সারোয়ার তুষার হাসপাতালের নথিতে তার স্বামীর নামের জায়গায় নিজের নাম বসিয়ে দেন।
শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ অভিযোগ করেন নীলা ইসরাফিল। পোস্টে তিনি লেখেন, “সেদিন আমি সম্পূর্ণ অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। আমার নিজের নাম, পরিচয় ও জীবনের সিদ্ধান্তের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। আর ঠিক সেই সুযোগেই সারোয়ার তুষার আমার স্বামীর নামের জায়গায় নিজের নাম বসিয়ে দিয়েছে। এটা কোনো ভুল নয়, এটা আইনগতভাবে জালিয়াতি।”
তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় নথি মিথ্যা তথ্য দিয়ে তৈরি করা এবং তা ব্যবহার করাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে অনুমতি ছাড়া কারও ব্যক্তিগত তথ্য পরিবর্তন করাও অপরাধ।
নীলা ইসরাফিল বলেন, “আমার অনুমতি ছাড়া আমার পারিবারিক পরিচয় বিকৃত করা মানে শুধু আমার সামাজিক সম্মানকে আঘাত করা নয়, এটি আমার মানবাধিকার লঙ্ঘনও। জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার ধারা ৩, ৫, ১২ ও ২২ অনুযায়ী আমার ব্যক্তিগত মর্যাদা, গোপনীয়তা এবং আইনি নিরাপত্তার অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে।”
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, হাসপাতালের নথিতে থাকা এই ভুয়া তথ্য ভবিষ্যতে তার বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে পারে এবং তার সামাজিক ও আইনগত নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
অভিযোগের বিষয়ে নীলা ইসরাফিল দাবি করেন-
অবিলম্বে ঘটনার তদন্ত করা হোক
দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনের সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হোক
তার প্রকৃত তথ্য পুনঃস্থাপন করা হোক
এবং রোগীর অসহায় অবস্থার সুযোগ নিয়ে যারা এমন অপরাধ করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হোক।
নীলা ইসরাফিল বলেন, “এটা শুধু আমার লড়াই নয়, এটা প্রতিটি মানুষের নিজের পরিচয়, মর্যাদা এবং অধিকারের জন্য লড়াই।”