সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে এক ধর্ষণ মামলায় চার্জশিট দেওয়ার কথা বলে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবারের দাবি, ওই পুলিশ কর্মকর্তা তিন কিস্তিতে এক লাখ টাকা ও ১০ কেজি ইলিশ নিয়েছেন। পরে উল্টো ভুক্তভোগীর বিপক্ষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে যমুনার চরে নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তোলেন মেয়েটির বাবা।
তিনি জানান, ২০২৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করেন প্রতিবেশী ছানোয়ার বেপারির ছেলে শহিদুল ইসলাম। প্রথমে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা হলেও অভিযুক্তের প্রভাবশালী পরিবার তাতে রাজি হয়নি। থানায় মামলা করার উদ্যোগ নিলে প্রভাবশালীদের বাধায় তা সম্ভব হয়নি। পরে আদালতে মামলা করা হয়।
আদালতের নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার শাহজাদপুর থানার তৎকালীন এসআই আনিছুর রহমানের হাতে আসে। অভিযোগ অনুযায়ী, তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি তিন কিস্তিতে এক লাখ টাকা এবং ১০ কেজি ইলিশ গ্রহণ করেন। কিন্তু পরে মামলার আসামির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে ‘ধর্ষণের ঘটনা ভিত্তিহীন’ উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন দেন। প্রতিবেদনে কোনো সাক্ষীর বক্তব্যও নেননি বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
পরবর্তীতে ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেন কিশোরীর বাবা। বর্তমানে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগ তদন্ত করছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দ্রুত আসামিকে গ্রেপ্তার করে বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান।
অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই আনিছুর রহমান বলেন, “ভুক্তভোগীর কাছ থেকে আমি কোনো টাকা বা উপহার নেইনি। এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।”