অভিনেত্রী শমী কায়সার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। সোমবার (১১ আগস্ট) হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করে।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, ৪ আগস্ট টঙ্গী সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান ইউসুফ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মিছিলে অংশ নেন। ওই দিন দুপুরে উত্তরা পূর্ব থানার আজমপুর এলাকায় মিছিল চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে তার বাঁ কাঁধে আঘাত লাগে এবং তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তিনি সুস্থ হন।
ঘটনার প্রায় আঠারো দিন পর, ২২ আগস্ট, জুবায়ের উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১১ জনকে নামীয় আসামি এবং আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এজাহারে অভিনেত্রী শমী কায়সারের নাম সন্দেহভাজন হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে, চলতি বছরের ৯ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালত শমী কায়সারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ৫ নভেম্বর রাতে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরদিন ইশতিয়াক মাহমুদ হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
গত ৮ ডিসেম্বর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে তিন মাসের জামিন মেলে। তবে ১২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত ওই জামিন স্থগিত করেন। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর এবার তিনি পুনরায় জামিন পেলেন।
শমী কায়সার নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তার পিতা শহীদুল্লাহ কায়সার ছিলেন একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিক, আর মাতা পান্না কায়সার লেখিকা ও সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর স্ত্রী মায়া পান্নার বোন।