রাজশাহীতে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী এক শিক্ষকের ওপর ছুরি দিয়ে হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বেলা পৌনে দুইটার দিকে নগরের সপুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষক মারুফ কারখী (৩৪) রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক। তাঁর ঘাড় ও হাতে জখম হয়।
ঘটনার পর স্থানীয়রা ছাত্রীটিকে আটক করে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে। পরে তার অভিভাবকের উপস্থিতিতে মেয়েটিকে পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই ছাত্রী অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলে পড়েছে। ২০২৩ সালে ‘উচ্ছৃঙ্খল আচরণের কারণে’ তাকে টিসি দেওয়া হয়। বর্তমানে সে অন্য একটি স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। টিসি দেওয়ায় তার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ ছিল।
স্কুলের এক কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ছাত্রীটি স্কুলের সামনে অপেক্ষা করছিল। শিক্ষক মারুফ কারখী ছুটি শেষে স্কুটি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তখন ছাত্রীটি ‘হেল্প, হেল্প’ বলে ডাক দেয়। শিক্ষক কাছে যেতেই সে হঠাৎ ছুরি চালায়। আত্মরক্ষার চেষ্টা করতে গিয়ে শিক্ষক মারুফের হাত ও ঘাড় কেটে যায়।
স্থানীয়দের সহায়তায় শিক্ষককে রাজশাহীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর শরীরে তিনটি সেলাই দেওয়া হয়। পরে তাঁকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়।
ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে ছাত্রীটিকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করতে শোনা যায়।
এ বিষয়ে রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ গণমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করেননি। বোয়ালিয়া থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, “এ ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষ থানায় কোনো অভিযোগ করেনি।”