মালয়েশিয়া সরকার আবারও বিদেশি শ্রমিক কোটা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এটি নির্দিষ্ট খাত ও উপখাতের জন্যই সীমিত থাকবে। এ তথ্য জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল।

মন্ত্রী বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যৌথ কমিটির বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয়েছে, আবেদন গ্রহণ করা হবে “কেস বাই কেস” ভিত্তিতে।

কোন খাত ও উপখাতের জন্য আবেদন সম্ভব?

• কৃষি, প্লান্টেশন ও খনন খাত – সব উপখাতের জন্য।
• সেবাখাতের উপখাত – পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা, গুদামজাতকরণ, নিরাপত্তা সেবা, স্ক্র্যাপ মেটাল, রেস্তোরাঁ, লন্ড্রি, কার্গো হ্যান্ডলিং ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা সেবা।
• নির্মাণ খাত – কেবল সরকারি প্রকল্পের জন্য।
• উৎপাদন খাত – শুধু নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আগের মতো যে কেউ কোটা পাবার জন্য আবেদন করতে পারবে না। কেবল নির্দিষ্ট খাত ও উপখাতের প্রতিষ্ঠানই আবেদন করতে পারবে।

কীভাবে আবেদন করতে হবে?

প্রতিটি খাতের উদ্যোক্তাদের প্রথমে তাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন জমা দিতে হবে।

• প্লান্টেশনের উদ্যোক্তারা প্লান্টেশন ও পণ্য মন্ত্রণালয়ে।
• কৃষি উদ্যোক্তারা কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ে।
• রেস্তোরাঁ মালিকরা দেশীয় বাণিজ্য ও জীবনযাত্রার খরচ মন্ত্রণালয়ে।

এরপর আবেদন যাচাই করবে টেকনিক্যাল কমিটি, এবং চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে যৌথ কমিটি।

বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা নিয়ে সীমা

বর্তমানে মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিকের হার ১৫%। কিন্তু ১৩তম মালয়েশিয়া পরিকল্পনা অনুযায়ী এটি ১০%-এ নামানোর লক্ষ্য রয়েছে।

২০২৫ সালের জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪,৬৭,৭৫৬ জন। ২০২৬ সালের প্রথম বা দ্বিতীয় প্রান্তিকের মধ্যে এটি ১০%-এ নামানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।